শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী মানুষ ও প্রবীণ জনগোষ্ঠী কেউই আমাদের সমাজের বোঝা নয়। তাদের চাওয়া-পাওয়া খুব বেশি নয় বরং একটু সহানুভূতি, নিঃস্বার্থ ও নির্মল ভালবাসা এবং সহমর্মিতাই পারে তাদের জীবনকে আরো গতিশীল ও ছন্দময় করতে। এ লক্ষ্য নিয়ে গত ২৬ জুলাই ২০২৩ সংস্থার ‘প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির’ আওতায় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন প্রবীণ কমিটি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার বিতরণ এবং দরিদ্র ও অসহায় প্রবীণদের মাঝে মাসিক পরিপোষক ভাতা প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ‘সীমান্ত ইউনিয়ন প্রবীণ কমিটি’র উদ্যোগে ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামের প্রবীণ সামাজিক কেন্দ্রে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজ। যেখানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন। আলোচনা শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ৪ জনের মাঝে ৪টি হুইল চেয়ার বিতরণ করেন। এছাড়া ৫৫ জন দরিদ্র ও অসহায় প্রবীণ নারী-পুরুষকে জনপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা হারে জুলাই ২০২৩ মাসের প্রকল্প বরাদ্দের মোট ২৭ হাজার ৫০০ টাকা পরিপোষক ভাতাও বিতরণ করেন।
হুইল চেয়ার পেয়ে সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিগণ অত্যন্ত খুশী হন যা তাদেরকে একটু ভালভাবে চলাফেরা ও নতুন করে জীবন চালানোর স্বপ্ন দেখায়। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে ভাতার পরিমাণ খুব বেশি না হলেও দরিদ্র ও অসহায় প্রবীণ নারী-পুরুষ এ পরিপোষক ভাতা পেয়ে অত্যন্ত খুশি। এ ভাতা দিয়ে তারা তাদের দৈনন্দিন ঔষধসহ মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে পারবেন বলে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
সংস্থার এই মহতী উদ্যোগে সংহতি জ্ঞাপন করে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজ বলেন, “শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী মানুষ ও প্রবীণ জনগোষ্ঠী কেউই আমাদের সমাজের বোঝা নয় বরং তারা আমাদের সমাজের দর্পণ। প্রবীণদের দীর্ঘ জীবনের বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতাই পারে বর্তমান দিশাহীন যুব সমাজকে নতুন করে আলোর পথ দেখাতে”। এই উদ্যোগ সরেজমিনে দেখে মুগ্ধ হবার স্বীকৃতিসরূপ ইতিমধ্যে তিনি ‘শাখারিয়া প্রবীণ সামাজিক কেন্দ্র’কে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে জাতীয়ভাবে পদক প্রদানের লিখিত সুপারিশসহ প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ করেছেন।