বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের বৃহৎ নেটওয়ার্ক  ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’ এর উদ্যোগে বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও নেটওয়ার্কের সম্মিলিত আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ২৬ এবং ২৭ জুলাই দুদিনব্যাপী ‘এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের খাদ্য অধিকার এবং কৃষি খাদ্যব্যবস্থা সম্মেলন ২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত প্রায় সাত শতাধিক খাদ্য ও কৃষি খাদ্যব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও এক্টিভিস্ট, নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ, কৃষক, আদিবাসী, যুব প্রতিনিধি এবং ফিলিপাইন, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ সরাসরি ও ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক এবং ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দুদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। এছাড়া সম্মানীয় অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান; নেপালের কৃষি ও জীবিকায়ন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সঞ্জীব কর্ণ এবং কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রমেশ সিং বক্তব্য রাখেন। উদ্বোধনী এ অধিবেশন সঞ্চলনা করেন নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী কানিজ ফাতেমা।

উদ্বোধনী অধিবেশনে খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের এ সময়োচিত উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেন, “স্বাধীনতার শুরু থেকেই কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে নানামুখী উদ্যোগের শুরু হয়েছিল। যার ধারা অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশ আজ খাদ্য উৎপাদনের রোল মডেল।” বাংলাদেশসহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ সম্মেলন পথ দেখাবে বলে তিনি আশা করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এম. এ. মান্নান এমপি বলেন, “সাম্প্রতিককালে দেশের কৃষক ও জনগণের পরিশ্রমের ফলে এবং রাষ্ট্রের সুদূরপ্রসারী নীতিমালার কারণে খাদ্য উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়েছে, খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব হয়েছে।” অধিবেশনের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, “খাদ্যের পর্যাপ্ততার পাশাপাশি সেই উৎপাদিত খাদ্যে সকল মানুষের অভিগম্যতা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।” সম্মানীয় অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ২য় লক্ষ্য স্পষ্টভাবে ক্ষুধা নিরসনের কথা বলে, যা খাদ্য অধিকারের দাবিকে ন্যায্যতা দেয়।” সঞ্জীব কুমার কর্ণ তার বক্তব্যে বলেন, “বৈশ্বিকভাবে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার অগ্রগতি  ঘটলেও আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।” রমেশ সিং বলেন, “ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলো ব্রিটিশ উপনিবেশমুক্ত হওয়ার সময়কালে যেসব দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয়েছিল, তখন থেকেই সকলের জন্য খাদ্যের দাবি উত্থাপিত হতে থাকে। সরকারগুলো এ মৌলিক চাহিদা পূরণে সবসময় সমর্থ হয়নি। তবে বিগত এক দশকে বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের দেশগুলো খাদ্য উৎপাদনে অনেকখানি অগ্রসর হয়েছে।’ স্বাগত বক্তব্যে মহসিন আলী বলেন, “এ সম্মেলন খাদ্য ও পুষ্টি অধিকার এবং সেই সাথে একটি টেকসই কৃষি খাদ্যব্যবস্থা, যা ক্ষুধা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয় এবং সংকট মোকাবেলা করে আমাদেরকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার নতুন পথ উন্মোচন করে দেবে।”

সম্মেলনের প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হয় ‘এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের খাদ্য অধিকার সংক্রান্ত আইনি কাঠামো ও মৌলিক বিষয়সমূহ’ শীর্ষক প্লেনারি অধিবেশন। ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ -এর সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনায় এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ ও পাকিস্তান কিষাণ রাবিতা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফারুক তারিক। প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করেন নেপালের মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য জাতীয় মোর্চার সাধারণ সম্পাদক বিদুর সুবেদি, সিরাইজ ফিলিপাইনের প্রতিনিধি আটি. জয় অ্যাঞ্জেলিকা ডক্টর, রাইট টু ফুড ইন্ডিয়ার খাদ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলরাম প্রমুখ।

এছাড়াও ‘ক্ষুধা নিরসন ত্বরান্বিতকরণে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের অধিকার’, ‘কৃষি-খাদ্যব্যবস্থা ও খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে জলবায়ু সংকটের প্রভাব’, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় খাদ্য অধিকার ও সামাজিক সুরক্ষা- নীতি অধ্যয়ন ও সীমাবদ্ধতা বিশ্লেষণ’, ‘পুষ্টি নিরাপত্তায় খাদ্য ব্যবস্থার প্রভাব’, ‘খাদ্য অধিকার নিশ্চিতকরণে কৃষি-খাদ্যব্যবস্থার রূপান্তর ও পরিচালনা ব্যবস্থা’  শিরোনামে ৫টি কারিগরি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এ সকল অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর এডভান্সড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান, কেয়ার নেপালের সিনিয়র ম্যানেজার জিবনাথ শর্মা, এনআরডিএসের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল আউয়াল, ডব্লিউএইচএইচ নেপালের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সীমা লুইটেল, একশনএইড ইন্ডিয়ার দেশীয় পরিচালক সন্দীপ চাচরা, বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুশান্ত দাস, ইএসডিও’র প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ড. মো. শহীদ-উজ-জামান, ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ এম শাহান, ডব্লিউএইচএইচ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর পংকজ কুমার, নেপালের জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম সচিব ড. কিরণ রুপখেতি প্রমুখ।

দুদিনব্যাপী এ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ‘ক্ষুদ্র খাদ্য উৎপাদনকারীদের বিবেচনা করে কৃষিতে ডিজিটালাইজেশন’ শীর্ষক কারিগরি অধিবেশনে মো. আমিরুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. এফ এস আনসারি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী পরিচালক, এসিআই এগ্রিকালচার; আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড. মেরিল্লা সি গোবিন্দ, অস্ট্রিলিয়ান ফুড সোভরেন্টি এলায়েন্স আফসা, সুলতান আহমেদ বিশ্বাস, আহ্বায়ক, প্রগতিশীল কৃষক জোট, আইরিশ পি ভাগুইলাট, সমন্বয়ক, এশিয়ান ফামার্স এসোসিয়েশন ফর স্যাসটেইনে বল রুরাল ডেভেলপমেন্ট (আফা)। এই অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. রঞ্জন সাহা পার্থ, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

‘কৃষি ভ্যালু চেইনে যুব ও নারীর অংশগ্রহণ’ শীর্ষক কারিগরি অধিবেশনে হেইফার ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর নুরুন নাহারের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিজানুর রহমান পিএইচডি, সিনিয়র টিম লিডার-জানো প্রজেক্ট, কেয়ার বাংলাদেশ; মোসা. রিসাতুল জান্নাত রিংকি, ছাত্রী, গঙ্গাচরা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, রংপুর; রাজিয়া আক্তার মিমি, ছাত্রী, টুপামারী উচ্চ বিদ্যালয়, নীলফামারী; পরিমল চন্দ্র রায়, ছাত্র, কুকশাবাড়ী এমইউ উচ্চ বিদ্যালয়, নীলফামারী; আয়েশা আক্তার, সেচ্ছাসেবক, তারাগঞ্জ, রংপুর; মো. হুমায়ুন কবীর, অধ্যাপক, উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ, শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এই অধিবেশনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাসিফা আলী, উপ-নির্বাহী পরিচালক, ওয়েভ ফাউন্ডেশন। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ‘মাঠ থেকে শুরু করে খাবারের টেবিল পর্যন্ত খাদ্য প্রক্রিয়ার পুরো বিষয়টিই কৃষি ভ্যালু চেইনের অংশ। এক্ষেত্রে যুবসমাজের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানে কৃষির ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে তরুণদের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

‘জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষি খাদ্যব্যবস্থায় পারিবারিক কৃষির ভূমিকা’ শীর্ষক প্লেনারি অধিবেশনে ক্রিশ্চিয়ান এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর নুজহাত জাবিনের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. সিকান্দার খান তানভীর, সিনিয়র প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট, সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টার; সঞ্জীব কুমার কর্ণ, যুগ্ম সচিব, কৃষি ও জীবন জীবিকা উন্নয়ন মন্ত্রণালয়, নেপাল; আব্দুল হামিদ পিএইচডি, চেয়ারম্যান, এগ্রিয়ান রিসার্চ ফাউন্ডেশন; শাহানূরে শহীদ শাহীন, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম, মো. শামসুজ্জামান, ইমারজেন্সি কোঅডিনেটর, ক্রিশ্চিয়ান এইড বাংলাদেশ।

একশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবীরের সভাপতিত্বে সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আইন উদ্দিন এমপি। এতে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী। আরো বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, নেপালের জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম সচিব ড. কিরণ রুপখেতি, ওয়েলটহাঙ্গারহিলফে, ভারতের দেশীয় প্রতিনিধি সাসমিতা জেনা, হেইফার ইন্টারন্যাশনাল এন্ড ওয়ান হেলথ এশিয়া রিজিওনের সিনিয়র ডিরেক্টর অফ প্রোগ্রাম দিলিপ ভান্ডারি প্রমুখ।

সমাপনী অধিবেশনে অংশগ্রহণকারীদের সর্বসম্মতিতে গৃহীত সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে যেসব দাবি তুলে ধরা হয়:

  • ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের সুরক্ষার জন্য জলবায়ু সহনশীল, পরিবেশবান্ধব কৃষিব্যবস্থা এবং পারিবারিক কৃষির সাথে সংশ্লিষ্টদের অধিকারকে সমুন্নত রাখা;
  • বাংলাদেশসহ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহে সবার জন্য খাদ্য অধিকার আইন নিশ্চিত করা;
  • ক্ষুদ্র কৃষকবান্ধব এবং একইসাথে বৃহৎ কৃষি খামারিদের সহায়তা করে- এমন কৃষি পরিষেবার (ভর্তুকি) ব্যবস্থা করা;
  • কৃষি ও খাদ্যব্যবস্থাকে ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই করার জন্য কর্পোরেট নিয়ন্ত্রিত কৃষি ব্যবস্থার পরিবর্তে জনবান্ধব কৃষি ও খাদ্যব্যবস্থা শক্তিশালী করা;
  • সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিসমূহ পর্যালোচনা করে সমাজের সবচেয়ে প্রান্তিক অংশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিত করা;
  • কৃষিতে ডিজিটাইজেশন বৃদ্ধির জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠী যাতে সহজে এতে অভিগম্যতা পায় সেজন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠী-ভিত্তিক ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নয়নের পাশাপাশি একটি সাধারণ পরিসর (প্ল্যাটফর্ম) সৃষ্টি করা;
  • সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিসমূহের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা এবং সেবাগ্রহীতাদের উত্তরণে একটি সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনাসহ শক্তিশালী মনিটরিং ও মূল্যায়ন পদ্ধতি নিশ্চিত করা;
  • কৃষি ও খাদ্যব্যবস্থায় বহুবিধ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা, যেখানে নাগরিক সমাজের সংগঠন, কৃষক সংগঠন, গবেষক, যুব, নারী, মৎস্যজীবী, ক্ষুদ্র পারিবারিক কৃষকসহ সকলের জোরালো দাবি/কন্ঠস্বর উত্থাপনের সুযোগ থাকবে;
  • ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের কৃষি-প্রতিবেশব্যবস্থা সংক্রান্ত উপকরণ, কৌশল এবং ডিজিটাল সাক্ষরতার উপরে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা;
  • কৃষক ও উৎপাদক সংগঠনগুলোর জন্য একটি পৃথক আইন বা বিধান প্রয়োজন, যা কৃষি ভ্যালু চেইনের সকল পর্যায়ে কৃষকদের অংশগ্রহণ ও তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।

সম্মেলনের ঘোষণাপত্রের সাথে সহমত পোষণ করে সমাপনী অধিবেশনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, “বর্তমান সরকারের পক্ষেই সম্ভব হয়েছে দেশকে খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত করা। বর্তমানে আমরা প্রায় ৪ কোটি ৫৫ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন করে থাকি, যদিও কৃষিজমি একটুও বাড়েনি। কৃষি সংক্রান্ত সকল প্রতিষ্ঠানে সরকারের সহায়তা থাকায় সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলেও পুষ্টি এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সেজন্য কাজ করছে। বর্তমান সরকার যতগুলো সামাজিক নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করেছে, এমন নজির আর কোথাও নেই।”

ঘোষণাপত্র অনুযায়ী যার যার অবস্থান থেকে এ সম্মেলনের উদ্দেশ্য পূরণের প্রত্যয় ব্যক্ত করার মাধ্যমে সমাপ্ত হয়   ‘এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের খাদ্য অধিকার এবং কৃষি খাদ্যব্যবস্থা সম্মেলন ২০২৩’।

Contact Us

We're not around right now. But you can send us an email and we'll get back to you, asap.

Not readable? Change text. captcha txt