কালার ব্রয়লার জাতের মুরগি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত একটি নতুন জাত। বাজারের প্রচলিত ব্রয়লার মুরগির প্যারেন্টস্টকের সাথে দেশি মুরগির সংকরায়নের মাধ্যমে এ নতুন জাতের উন্নয়ন করা হয়েছে। ফলে কালার ব্রয়লার বা বাউ-ব্রো জাতের মুরগির মাংস তুলনামূলকভাবে ব্রয়লার মুরগির থেকে দৃঢ় এবং স্বাদে প্রায় দেশি মুরগির মাংসের মত।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় মৃত্যুহার অনেক কম এবং ব্রয়লার মুরগির মতই দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ৩৫-৪০ দিন পালনে এর ওজন প্রায় ১ কেজি, আর ৫৫-৬০ দিনে হয় প্রায় ২-২.৫ কেজি। দ্রুত মাংস উৎপাদন ও স্বাদে দেশি মুরগির মত হওয়ায় এই মুরগি পালন সম্ভাবনাময় এবং বেশ লাভজনক। মোছা. মাছুরা খাতুন সংস্থার ক্ষুদ্র অর্থায়ন কর্মসূচির সুগন্ধা মহিলা সমিতির (চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলা) একজন সদস্য। করোনাকালীন এই ভয়াবহ সংকটকালে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে তিনি ভাবছিলেন কী করা যায়। এমন সময় মাছুরা বিভিন্ন জাতের হাঁস-মুরগি পালন এবং এ বিষয়ে সংস্থা কর্তৃক প্রদেয় কারিগরি সুবিধার কথা জানতে পারেন। নতুন জাত হিসেবে কালার ব্রয়লার বা বাউ-ব্রো জাতের মুরগি পালনের বিস্তারিত শুনে মাছুরা আগ্রহী হন।
পরবর্তীতে ২০২১ সালের জুন মাসে সংস্থা থেকে তিনি ১২৫টি কালার ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা, মুরগির ঘর মেরামতের জন্য নগদ টাকা, জীবাণুনাশক এবং টিকা সহায়তা পান। এছাড়াও মুরগি পালন বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট থেকে কারিগরি সহায়তা পেয়ে থাকেন। বর্তমানে মুরগিগুলোর বয়স প্রায় ৫০ দিন এবং গড় ওজন ১.৫ কেজির মত যা ২০০ টাকা কেজি দরে তিনি বিক্রি করছেন। তবে নতুন জাতের কারণে বাজারজাতকরণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে মাছুরা বড় আকারে মুরগির ফার্ম দিতে চান। একইসাথে নিজে সাবলম্বী হয়ে এলাকার অন্যান্যদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করে আয়ের নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে চান।