সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রসপারিটি (Pathways to Prosperity Project) প্রকল্প জরিপের মাধ্যমে ২০২০ সালে হালিমা বেগমের পরিবার অতিদরিদ্র খানা হিসেবে নির্বাচিত হয় এবং পদ্মা পিভিসির (প্রসপারিটি ভিলেজ কমিটি) অন্তর্ভুক্ত হয়ে হালিমা প্রসপারিটি কমিটির সদস্য হন। পরবর্তীতে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে জীবিকায়ন কম্পোনেন্টের আওতায় ব্রয়লার মুরগি পালনে অনুদান গ্রহণ করে নিজেই খামার গড়ে তোলেন।
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের নিম চাওলা গ্রামের বাসিন্দা আবু বকর (৬৩ বছর) ও হালিমা (৫২) দম্পতি। ছেলেরা বড় হয়ে বিয়ে করে আলাদা সংসার করছে। দিনমজুর স্বামীর একার আয় দিয়ে কোন রকমে চলে তাদের সংসার। এমন সময় প্রসপারিটি প্রকল্পের অনুদান ও নিজের কিছু পুঁজি বিনিয়োগ করে হালিমা ব্রয়লার মুরগির খামার করেন।
গত ২ নভেম্বর ২০২১ হালিমা বেগমকে প্রকল্প থেকে ১০০টি মুরগির বাচ্চা, ১ বস্তা খাবার, খাবার পাত্র, পানির পাত্র, হুপার, ব্রুডার, তার, হোল্ডার, লাইট, টিকা ও মেডিসিন প্রদান করা হয়। প্রথম ধাপে ১০০টি বাচ্চা ৩০ দিন লালন পালন করে ১৮০ কেজি মুরগি ১৪০ টাকা দরে মোট ২৫ হাজার ২০০ টাকায় স্থানীয় বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন। ১০০টি মুরগি ৩০ দিন পালন করতে তার ব্যয় হয় ১৯ হাজার ২০০ টাকা। যা থেকে নীট মুনাফা হয় ৬ হাজার টাকা।
এরপর ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ ২য় ধাপে হালিমা ৩২০টি ব্রয়লার বাচ্চা পালন করেন। এর মধ্যে ১৮টি মুরগি মারা যায়। ৩০ দিনে বিক্রয়যোগ্য হয় ৫১৩ কেজি মুরগি এবং এতে মোট ব্যয় হয় ৫২ হাজার ২৬০ টাকা। যা ১৩০ টাকা দরে মোট ৬৬ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়। ২য় ধাপে তিনি ১৪ হাজার ৪৪০ টাকা নীট মুনাফা আয় করেন ।
৩য় দফায় হালিমা ৫০০ মুরগি পালনের পরিকল্পনা করছেন। খামারের শেড বড় ও চাল মেরামত করার জন্য সম্প্রতি প্রকল্প ইউনিট-১৩১ হতে ৩০ হাজার টাকা বুনিয়াদ ঋণ গ্রহণ করেছেন। ভবিষ্যতে একজন সফল ও বড় খামারী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে হালিমার। হালিমা বিশ্বাস করেন, ওয়েভ ফাউন্ডেশন যদি আগামী দিনেও এভাবে তাকে সাহায্য করে তাহলে খুব দ্রুতই তার স্বপ্নপূরণ হবে।