বস্তায় মাটি ভরে আদা চাষের সফলতার কথা জানতে পেরে সমৃদ্ধি কর্মসূচির যুব ফোরামের সদস্যরা চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের ৪টি গ্রামে এ উদ্যোগ শুরু করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাশপুর, গয়েশপুর, হরিহরনগর ও মেদিনিপুর গ্রামে ২০০ বস্তায় অর্ধেক মাটি ভরাট করে আদার চারা রোপন করে।

একেকটি বস্তায় ২-৩ টি করে চারা রোপন করা হয়। প্রাথমিকভাবে মাটির সাথে জৈব সার ব্যবহার করা হয়, কোন রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় না। যুব ফোরামের সদস্যরা বলেন, ”দুইশ বস্তায় আদা চাষ করতে কেবলমাত্র বস্তা আর চারা মিলিয়ে খরচ হয়েছে ২৪০০ টাকা। আগামী চৈত্র মাসে এই আদা উত্তোলন করা হবে।” তারা আশা করছে, প্রতিটি বস্তায় কমপক্ষে আড়াই কেজি করে আদা উৎপাদিত হবে। এতে ২০০ বস্তায় ৫০০ কেজি আদা পাওয়া যাবে। বর্তমানে আদার পাইকারি বাজার মূল্য প্রতি কেজি ১২০ টাকা। সেই হিসাবে ২০০ বস্তায় উৎপাদিত আদার বাজার মূল্য হবে প্রায় ৬০ হাজার টাকা।

যুব ফোরামের সদস্যরা আরও বলেন, ”সকল খরচ বাদ দিয়ে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা আমাদের লাভ থাকবে। যদি সফল হই, আগামীতে বাণিজ্যিকভাবে ৫০০ বস্তায় আদা চাষ করবো।” জীবননগর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর-এর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, ”বস্তায় মাটি ভরাট করে আদা চাষ এ এলাকায় একটি নতুন ধারণা। এটি একটি সম্ভাবনাময় ও লাভজনক পেশা হতে পারে। ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সমৃদ্ধি কর্মসূচির যুব ফোরামের সদস্যরা যে উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি অফিস তাদের পাশে আছে এবং কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়াগত সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।”

Contact Us

We're not around right now. But you can send us an email and we'll get back to you, asap.

Not readable? Change text. captcha txt