গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ ওয়েভ ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত ইয়ুথ ইন ক্লাইমেট অ্যাকশন (ওয়াইক্যাপ) প্রজেক্টের উদ্যোগে অনলাইনে এক ‘যুব সিম্পোজিয়াম’ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওয়েভসহ প্রকল্পের আরেক সহযোগী প্রতিষ্ঠান ধান ফাউন্ডেশন (ভারতের তামিলনাড়ুতে অবস্থিত)-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ,নরেকের যুব প্রফেশনাল ও যুব প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্পটি নরওয়ে ভিত্তিক দাতা সংস্থা নরেক (নরওয়েজিয়ান এজেন্সি ফর এক্সচেঞ্জ কোঅপারেশন) এর সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। সিম্পোজিয়ামে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী এবং ধান ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম লিডার কল্যাণ সুন্দারাম যুবদের জলবায়ু কার্যক্রমের উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিতে উৎসাহ প্রদান করেন।
বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা, পটুয়াখালী ও বরিশালের ২টি করে ৬টি উপজেলা থেকে ৬০ জন এবং ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের জাওয়াধু পাহাড়, দেবকোট্টাই ও মাথুপেট্টাইয়ের ৬০ জন, দুই দেশের দুই উন্নয়ন সংস্থার ৪ জন নরেক যুব প্রফেশনাল এবং উভয় সংস্থার বিভিন্ন স্তরের ৫০ জন কর্মকর্তাসহ মোট ১৮০ জন অনলাইন যুব সিম্পোজিয়ামে যুক্ত হন। সিম্পোজিয়ামে বাংলাদেশের যুবরা খরা, উপকূলীয় র্দুযোগ ও লবণাক্ততার বিপন্নতা রোধে প্রকল্পের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ও দক্ষতা, ককমিউনিটি ভিত্তিক জলবায়ু কার্যক্রম (সিক্যাপ) বাস্তবায়নের সম্যক কৌশল, নিজ এলাকায় আধুনিক কৃষি প্রচারে তাদের চ্যালেঞ্জ মোকবেলা ও অনু্প্রেরণার গল্প ভারতের যুবদের সাথে বিনিময় করেন। পক্ষান্তরে ভারতের যুবরা দক্ষিণ ভারতে জাওয়াধু পাহাড়ি এলাকায় বার্ষিক দুটি মৌসুমী বৃষ্টিপাতকাল অতিবাহন ও অতিবৃষ্টি দর্যোগ মোকাবেলা করে তাকে কৃষিতে কাজে লাগানোর কৌশল এবং আদিবাসীদের সনাতন কৃষি পদ্ধতি ছেড়ে আধুনিক কৃষি অনুশীলনে উদ্যোগী করার উদ্বুদ্ধকরণ কৌশল ও সাফল্যের গল্প বাংলাদেশের যুবসদের সাথে বিনিময় করেন।
এছাড়া প্রকল্পের কার্যক্রম হিসেবে গড়ে তোলা ডিজিটাল কর্মক্ষেত্র ও মেন্টরিং টুল ‘ওয়াইক্যাপ ডিজিটাল’র মাধ্যমে উন্নীত দুই দেশের যুবদের ডিজিটাল দক্ষতার প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়। সিম্পোজিয়ামে যুবরা পারস্পরিক দক্ষতা, কৌশল ও প্রযুক্তি বিনিময়ের এই ধারাটিকে অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। একইসাথে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা প্রদান করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ২৬% বা ১.৮ বিলিয়ন মানুষের এক বিশাল এবং বৈশ্বিক উন্নয়নের আলোকবর্তিকাবাহী জনগোষ্ঠী হচ্ছে যুবরা। ডিজিটাল প্রযুক্তি থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর স্মার্ট প্রযুক্তির পথে পৃথিবীর উত্তরণ ঘটানো, সনাতন চাষাবাদ পদ্ধতিকে আধুনিক কৃষিতে রূপান্তরিত করা থেকে শুরু করে বৈশ্বিক মহামারী মোকাবেলা, শান্তি ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ, কিংবা জলবায়ু র্কাযক্রম, সকল ক্ষেত্রেই অগ্রণী ভূমিকা রাখছে যুবরা। তাই জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছানোর এজেন্ডা ২০৩০ অর্জনে যুবদের অংশগ্রহণ ও অংশীদারিত্বের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদক: খ. তাহসিন আশরাফি শুভ্র
নরেক ইয়াং প্রফেশনাল