বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলায় ওয়েভ ফাউন্ডেশন নিরাপদ সবজি উৎপাদন বিষয়ে কাজ করছে। সংস্থার অধীনে প্রায় ১৩৭ জন কৃষক নিরাপদ সবজি উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ করছেন। তাদের উৎপাদিত সবজিতে জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের পরিবর্তে বিভিন্ন ধরণের জৈব সার ও বালাইনাশক (ফেরোমন ফাঁদ, আঠালো ফাঁদ, লিউর ও ট্রাইকোর্ডামা) ব্যবহার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ওয়েভ ফাউন্ডেশন কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও উপকরণ সহায়তা দিয়ে আসছে ।
এলাকার কৃষকরা এখন রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে নিয়মিতভাবে কম মূল্যে পাওয়া যায় এমন জৈব-বালাইনাশক ব্যবহার করছেন। যার ফলে কম দামে ভাল মানের পাশাপাশি ২০-৩০ বছর আগের মতো উৎপাদিত সবজিতে অতুলনীয় স্বাদও পাওয়া যাচ্ছে। এ সাফল্য দেখে স্থানীয় অনেকেই নিজ উদ্যোগে নিরাপদ সবজি উৎপাদনের জন্য জমিতে জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করছেন। সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ফেরোমন ফাঁদ, আঠালো ফাঁদ, লিউর ও ট্রাইকোর্ডামা সংগ্রহ করছেন। আবার অনেক কৃষক বিক্রির জন্য না হলেও নিজের পরিবারের জন্য সামান্য কিছু জমি নিরাপদ বা বিষমুক্তভাবে চাষাবাদ করছেন।
সিংগাইর এলাকায় নিরাপদ সবজি উৎপাদন প্রদর্শনীর গ্রাম বা ইউনিয়নকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হচ্ছে ব্লক বা ক্লাস্টার। আর এই গ্রাম বা ইউনিয়নকে নিরাপদ সবজি উৎপাদন গ্রাম বা ক্লাস্টার হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এই সবজি ক্লাস্টার পরিদর্শনে আসছেন। এই প্রচার প্রসারের ফলে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্যে তাদের উৎপাদিত পণ্য খুব সহজেই বাজারজাতকরণ করতে পারছেন। যা কৃষকসহ এলাকার সাধারণ জনগণের জন্য এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে।