মাদারিপুর জেলার চরলক্ষীপুর গ্রামে জন্ম কবির হাওলাদারের। জীবিকার তাগিদে গ্রাম থেকে পাড়ি জমান ঢাকা শহরে। প্রথমে ঢাকার কল্যাণপুর এলাকায় মাছ বিক্রি শুরু করলেও কিছু দিন পরে এক বন্ধুর সাথে পাড়ি জমান ডেমরা থানার সারুলিয়াতে। সেখানে এক সবজির দোকানে মাসে ৭৫০০ টাকা বেতনে কাজ নেন। ৫ বছর ঐ দোকানে থাকার পর নিজেই এক বন্ধুর সাথে সারুলিয়া বাজারে সবজির ব্যবসা শুরু করেন।
পুঁজির সংকটের কারণে ব্যবসা বড় করতে পারছিলেন না কবির। এমন সময় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের তারাব ইউনিটে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণসহ ঋণের আবেদন করেন কবির হাওলাদারের স্ত্রী লাইজু। ২০১৯ সালে প্রথম ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে দোকানে মালামাল তোলেন এবং ব্যবসা শুরু করেন। ঢাকার কারওয়ান বাজার থেকে সবজি কিনে সারুলিয়া কাঁচা বাজারে বিক্রি করতে থাকেন।
করোনার সময় কবিরকে বেশ কিছুদিন দোকান বন্ধ রাখতে হয়েছিল, যার ফলে ৭৫ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়। এমন পরিস্থিতিতে ওয়েভ ফাউন্ডেশন থেকে ঋণ নিয়ে কবির পুনরায় ব্যবসা চালু করেন। বর্তমানে মাসে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে কবিরের। আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ছেলে-মেয়েকে ভালো স্কুলে পড়াচ্ছেন। তিনি মনে করেন, অধিক প্রতিযোগিতা ও পণ্যের দাম বৃদ্ধি এখন ব্যবসার নতুর চ্যালেঞ্জ। কবির হাওলাদারের স্ত্রী সংস্থার পক্ষ থেকে আয়োজিত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় ধারাবাহিকতা বিষয়ে সম্প্রতি একটি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
স্ত্রী লাইজু বেগম প্রশিক্ষণের অর্জিত জ্ঞান দিয়ে ব্যবসার বিভিন্ন প্রকার ঝুঁকি নিরসনে করণীয় বিষয়ে কবিরকে পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া ব্যবসার প্রতিদিনের হিসাব রাখতেও তিনি সাহায্য করছেন। পরিশ্রম আর মেধা কাজে লাগিয়ে দুজনের যৌথ প্রচেষ্টায় কবির হাওলাদার ব্যবসাটা আরও বড় করতে চান, যেখানে তার মতো গ্রাম থেকে ঢাকায় আগত অনেক গরিব-অসহায় যুবকের জন্য কাজের সংস্থান হবে।