সকলের জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং উত্তরণে ওয়েভ ফাউন্ডেশন, আইআরভি ও নবলোক-এর যৌথ উদ্যোগে নাগরিক কর্তৃক পরিচালিত মূল্যায়ন থেকে প্রাপ্ত তথ্য, বিশ্লেষণ ও সুপারিশ নিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, খুলনার সিএসএস আভা সেন্টারে ‘শিক্ষার্থীদের শিখন স্তরের বর্তমান অবস্থা ও শিক্ষার গুণগত মান অর্জন’ শিরোনামে এক শিক্ষা সংলাপ আয়োজন করা হয়। স্ট্রিট চাইল্ড ইউকে (Street Child UK) এর সহযোগিতায় ‘দ্য সাউথ এশিয়ান এসেসমেন্ট এলায়েন্স: কমিউনিকেটিং এন্ড কোলাবোরেটিং ফর চেঞ্জ’ প্রকল্পের অধীনে এ শিক্ষা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষা সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম, থানা শিক্ষা অফিসার রুমানা ইয়াসমিন এবং মো. আব্দুল মোমিন এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তুহিন রায় এবং সহকারী অধ্যাপক মো. ফজলে রাব্বি এতে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া স্ট্রিট চাইল্ড ইউকে বাংলাদেশের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ হৃদয় এ সংলাপে তার অভিমত তুলে ধরেন। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় এবং মূল্যায়ন জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক লিপি আমেনা। সংলাপে লোকমোর্চা, গণমাধ্যমকর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুকুল কুমার মৈত্র মূল্যায়ন জরিপের তথ্যের সাথে একমত পোষণ করে বলেন, “সরকার শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে একটি উন্নত দেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করছে। সরকারের নীতি সহায়তার ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার শতভাগে উন্নীত হয়েছে, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে এবং দেশের শিক্ষিতের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।” জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম তার বক্তেব্যে করোনার কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীরা নানাভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে উল্লেখ করে বলেন, “এ ক্ষতিকে শুধু প্রতিরোধ নয় বরং পেছনের ক্ষতিকে পুষিয়ে নেয়ার জন্য প্রয়োজন যথাযথ পদক্ষেপ।” সংলাপে শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে বক্তারা বলেন, “অধিকারভিত্তিক, জবাবদিহিমূলক ও বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য আমাদের চলমান শিক্ষা ব্যবস্থা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে আমূল পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।”
শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিতকরণে শ্রেণীর পড়া শ্রেণীতেই সম্পন্ন করা, শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং বেতন কাঠামোর সংস্কার, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থাপনা কমিটিকে আরো সক্রিয় করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ প্রদান করা হয় এ আয়োজনে।