পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার পূর্ব গোলখালী গ্রামের বাসিন্দা কল্পনা রানী। স্বামী অনিল গাইন পেশায় একজন কৃষক। স্বামীর কৃষি কাজে কল্পনা রানীও প্রায় সাহায্য করে থাকেন। কিন্তু আধুনিক ও সঠিক পদ্ধতি না জানায় কৃষিকাজ থেকে যে আয়-রোজগার হয় তা দিয়ে খুব কষ্টে তাদের সংসার চলে। কল্পনা রানী বলেন, ‘গত বছর ওয়েভ ফাউন্ডেশনের দুইজন স্যার আইসা মোগো লগে অনেক বিষয়ে কথা কই আর ঘরের ছবি নেয়। তখনই প্রসপারিটি প্রকল্পের কথা জানতি পারি। গরিব লোকদের অবস্থা ফিরাইতে এ প্রকল্প কাজ করছে।”

২০২১ সালের ২৮ মার্চ কল্পনা রানী ‘প্রসপারিটি সুরমা গ্রাম কমিটি’ তে যুক্ত হন। তারপর নিয়মিত কমিটির সভায় অংশগ্রহণ করেন এবং উচ্চমূল্যের নিরাপদ সবজি চাষের উপর ২দিনের একটি প্রশিক্ষণ পান। প্রশিক্ষণ শেষে সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে প্রকল্প কর্মকর্তাদের কথামতো চাষের জন্য জমিকে কয়েকটি বেডে ভাগ করেন। জমি প্রস্তুত হলে বীজ ক্রয়, সার, বালাইনাশক, বেড়া বাবদ প্রকল্প থেকে অনুদান হিসেবে ১০,০০০ টাকা পান, যা দিয়ে বীজ বপন করে সবজি চাষ শুরু করেন। সঠিকভাবে যত্ন নেয়ার ফলে চারাগুলো ভালোভাবে বেড়ে উঠতে থাকে।

কল্পনা রানী বর্তমানে তার বাগানের সবজি বিক্রি করছেন। এ পর্যন্ত আনুমানিক ১৮ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেছেন এবং অনেক সবজি তারা নিজেরা খান ও পাড়া-প্রতিবেশিদেরও দেন। এখনও অনেক ধরনের সবজি ক্ষেতে রয়েছে, যেগুলো তারা বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছেন। সবজি চাষের পাশাপাশি কল্পনা দম্পতি বাড়িতেই প্রকল্প কর্মকর্তাদের সহায়তা ও পরামর্শে দুইটি রিং দিয়ে কেঁচো সার তৈরি করছেন এবং নিজেদের জমিতে ব্যবহার করছেন। এ বিষয়ে প্রকল্প কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নিয়মিত কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ পাচ্ছেন ।

এত ভাল ফলন দেখে কল্পনা রানীর ইচ্ছা বছরব্যাপী সবজি চাষ করার। প্রয়োজনে শুকনা মৌসুমে পানি সেচ করার জন্য প্রসপারিটি গ্রাম কমিটি থেকে ঋণ নিয়ে একটি পানির পাম্প কিনবেন। কল্পনা রানী ও তার স্বামী, প্রসপারিটি প্রকল্প এবং ওয়েভ ফাউন্ডেশনকে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানান।

Contact Us

We're not around right now. But you can send us an email and we'll get back to you, asap.

Not readable? Change text. captcha txt