নাছিমা বেগম (৪০) পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরখালী গ্রামে বসবাস করেন। স্বামী, ২ মেয়ে ও ১ ছেলে নিয়ে মোট ৫ জনের সংসার। উপার্জনশীল ব্যক্তি একমাত্র নাছিমার স্বামী মনির মল্লিক। স্বামীর উপার্জনে কোন মতে তাদের সংসার চলে। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে ছেলের পড়াশুনা বন্ধ করে দিয়ে ঢাকায় পাঠিয়েছেন। বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন আর ছোট মেয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়ে।

গত বছর ওয়েভ ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রসপারিটি প্রকল্পের জরিপ কার্যক্রমের মাধ্যমে তার পরিবার অতিদরিদ্র খানার অন্তর্ভুক্ত হয় এবং নাছিমা কনকচাপা প্রসপারিটি ভিলেজ কমিটি-পিভিসিতে যুক্ত হন। এরপর আধুনিক পদ্ধতিতে সবজি চাষের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে তিনি ২ দিনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সবজি চাষের আগ্রহ দেখে প্রকল্পের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বরাদ্দ হতে অনুদান প্রদানের জন্য নাছিমাকে মনোনীত করা হয়। জমি লিজ নেয়া, প্রস্তুতকরণ ও সার বীজ ক্রয়ের জন্য নাছিমা ১২ হাজার টাকা অনুদান পান। লিজকৃত জমিতে গত জুন ২০২২-এ মাঁচা তৈরি করে লাউ, বরবটি, ধুনধুল ও পাটশাক চাষ শুরু করেন। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ হতে লাউ বিক্রি শুরু করে এক সপ্তাহে প্রায় ২ হাজার ৫০০ টাকার লাউ বিক্রি করেন।

নাছিমা বেগম আনন্দের সাথে জানান, “আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে আমার সবজি বাগানে খুব ভাল ফলন হয়েছে। আশা করি, লাউ ও শাক মিলে এ বছর প্রায় ৫০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করতে পারবো। ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ভাইদের নিয়মিত সহায়তা ও পরামর্শে এটা সম্ভব হয়েছে, তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।“ নাছিমা পরিকল্পনা করছেন এখন থেকে বছরব্যাপী সবজি চাষ করবেন এবং এই পেশার মাধ্যমে সফলতা অর্জন করবেন।

Contact Us

We're not around right now. But you can send us an email and we'll get back to you, asap.

Not readable? Change text. captcha txt