পিপিইপিপি প্রকল্পের মূল পর্বের জরিপ কার্যক্রমের অগ্রগতি
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউকেএইড-এর অর্থায়নে এবং পিকেএসএফ-এর সহায়তায় প্রথম পর্যায়ে আড়াই লক্ষ অতি দরিদ্রপরিবারের ১০ লক্ষ সদস্যকে অতিদারিদ্র অবস্থা থেকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে আসার লক্ষ্যে ‘পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল-পিপিইপিপি’ প্রকল্প বিভিন্ন জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। ওয়েভ ফাউন্ডেশন পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চারটি ইউনিয়ন (গলাচিপা সদর, রতনদী তালতলী, গজালিয়া ও গোলখালী) এবং মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে (বিনোদপুর, মহম্মদপুর সদর ও পলাশবাড়িয়া) এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে।
কোভিড-১৯ এর কারণে প্রকল্প শুরুর কাজে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটলেও পরবর্তীতে পিকেএসএফ এবং সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এ ধারাবাহিকতায় গত ১২-১৪ আগস্ট গলাচিপা এবং ১৯-২১ আগস্ট মহম্মদপুর উপজেলায় প্রকল্প কর্মকর্তাদের ‘Extremely Poor Household Selection and Verification’ বিষয়েতিন দিনের একটি অনাবাসিক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে ১৯ আগস্ট থেকে গলাচিপায় এবং ৩১ আগস্ট থেকে মহম্মদপুর উপজেলায় মাঠ পর্যায় (Participatory Extremely Poor Identification Tools-PEPIT) কার্যক্রম শুরুহয়। প্রতিটি উপজেলায় ৮টি করে পেপিট টিম (প্রতি টিম তিন সদস্য বিশিষ্ট) গঠিত হয়।
বর্তমানে কর্মএলাকার সকল ইউনিয়নে পেপিটের কাজ শেষ হয়েছে। সর্বমোট ৪৭০টি পেপিট কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এরমধ্যে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ২৪৯টি এবং মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলায় ৩টি ইউনিয়নে ২২১টি করা হয়েছে। পেপিট কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য ছিল জরিপের জন্য প্রাথমিকভাবে অতিদরিদ্র খানা বাছাই করা।
পেপিট সমাপ্ত হলে খানা জরিপের জন্য পেপিট-এর আওতায় প্রাপ্ত অতিদরিদ্র খানাসমূহের লিংক প্রাপ্তির জন্য পিকেএসএফ-এপ্রেরণ করা হয়। লিংক প্রাপ্তির পর গলাচিপা উপজেলায় ১৪ সেপ্টেম্বর এবং মাগুরা জেলায় ৬ অক্টোবর হতে খানা জরিপের কাজ শুরু হয়। খানা জরিপ কাজ পরিচালনার জন্য দুই সদস্যবিশিষ্ট ১০টি করে মোট ২০টি টিম দুই উপজেলায় গঠন করা হয়। এরমধ্যে শুধুমাত্র পাইলট ইউনিয়নের (গলাচিপা সদর ইউনিয়ন) খানা জরিপ শেষ হয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়নটিতে ৩৬টি পিভিসি(প্রসপারিটি ভিলেজ কমিটি) গঠন সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে এ ইউনিয়নে তথ্য যাচাই বা ভ্যালিডেশনের কাজ চলছে। বাকি ৬টিইউনিয়নে খানা জরিপের কাজ চলমান আছে। কর্মপরিকলপনা অনুযায়ী আগামী ২০ ডিসেম্বর ২০২০-এর মধ্যে খানা জরিপেরকাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।