‘গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ (বারি পেঁয়াজ-৫) উৎপাদনের উপর মাঠ দিবস’ অনুষ্ঠিত
গত ১ নভেম্বর সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত PACE প্রকল্পের আওতায় মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনীতে ‘গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ (বারি পেঁয়াজ-৫) উৎপাদনের উপর মাঠ দিবস’ আয়োজন করা হয়। IFAD ও PKSF-এর অর্থায়নে সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত বছরব্যাপী পেঁয়াজ উৎপাদন প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এ উদ্যোগ গৃহীত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষিমন্ত্রী, ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
তিনি বলেন, “পেঁয়াজ অত্যন্ত পঁচনশীল পণ্য, যা মজুত করে রাখা যায় না। সহজে মজুত করা গেলে পেঁয়াজ নিয়ে এত সংকট দেখা দিত না। পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য কোল্ড স্টোরেজের সুবিধা বাড়াতে হবে। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়াতে হবে। বিশেষ কোল্ড স্টোরেজে মজুত করতে পারলে পেঁয়াজ নিয়ে সংকট কমতো। তবে সেক্ষেত্রে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যেতে পারে। সে তুলনায় তুলনামূলকভাবে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ সহজতর ও অধিক সম্ভবনাময়। পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে আমাদের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন করতে হবে।’’
এছাড়াও অনলাইনে যুক্ত থেকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেন, “মেহেরপুরের মাটি ফসল চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। আমাদের এলাকায় চাষীরা বছরে তিনবার পেঁয়াজ উৎপাদন করবে, যদি ন্যায্য দাম পায়। যেহেতু মেহেরপুর এলাকায় বারি পেঁয়াজ-৫ চাষ হয়, সেহেতু কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে যদি বিশেষ গুরুত্ব দেয় তাহলে ভারত বা অন্যান্য দেশের উপর নির্ভরশীলতা কমবে।’’
কৃষি সচিব; মো. মেসবাহুল ইসলাম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, “আমাদের কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূণর্তা অর্জন করার জন্য বিশেষ প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন আগামী তিনবছরে পেঁয়াজের উৎপাদন ১০ লক্ষ মেট্রিক টন বাড়ানো হবে।”
এছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, ড. মো. নাজিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়; মো. হামিদুর রহমান, এপিএ এক্সপার্ট পুলের সদস্য, কৃষি মন্ত্রণালয়; ড. মো. মিয়ারুদ্দিন, পরিচালক (গবেষণা), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট; ড. আকন্দ মো. রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক (কার্যক্রম), পিকেএসএফ এবং পার্থ প্রতিম সাহা, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, যশোর অঞ্চল।
অনুষ্ঠানে সংস্থার উপ-নির্বাহী পরিচালক, আনোয়ার হোসেন তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “ওয়েভ ফাউন্ডেশন ২০১৭ সাল থেকে এই জাতের পেঁয়াজ মেহেরপুর জেলায় চাষ করে আসছে। কিন্তু সম্প্রসারণে যাওয়ার জন্য বীজের যে চাহিদা সেটির সরবরাহ নেই।”মেহেরপুর বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ফার্মে এই বীজ উৎপাদন করা যায় কিনা সেটা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভেবে দেখার আহবান জানান তিনি। এছাড়াও তিনি পেঁয়াজ সংরক্ষণের বিষয়েও গুরুত্ব দেন।’