আখিনুর বেগম (৪২) পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলার পূর্ব গোলখালী গ্রামে দুই ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে বসবাস করেন। স্বামী অন্যের দোকানে কাঠ মিস্ত্রির কাজ করেন। করোনা আর দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনেক কষ্টে তাদের দিন কাটে। ২০২০ সালে পিকেএসএফ-এর সহযোগিতায় পরিচালিত প্রসপারিটি প্রকল্পের জরিপ কার্যক্রমের সকল ধাপ সম্পন্ন করে আখিনুর বুড়িগঙ্গা প্রসপারিটি গ্রাম কমিটির সদস্য হন। কমিটির সভায় প্রাণিসম্পদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিবার পর্যায়ে খামার তৈরির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আখিনুর বেগম ব্রয়লার মুরগির খামার করার ইচ্ছা পোষণ করেন।
প্রসপারিটি প্রকল্পের কারিগরি টিম এ বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়া প্রকল্পের জীবিকায়ন কম্পোনেন্টের আওতায় হাঁস-মুরগি পালন বিষয়ে ২দিনের দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ শেষে আখিনুর বেগমকে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট হতে ব্রয়লার পালনে অনুদান প্রদান করা হয়। প্রাথমিকভাবে ১০০টি ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা দিয়ে খামারের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের কারিগরি টিম তাকে নিয়মিত ব্রুডিং, আলোক ব্যবস্থাপনা, টিকা, খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করেন।
৩০ দিন পালনের পর ১ম পর্যায়ে তার নিট আয় ছিল ৪৫০০ টাকা, ২য় পর্যায়ে ২০০ নতুন বাচ্চা পালনের মাধ্যমে নিট আয় হয়েছিল ১৩ হাজার টাকা এবং ৭ম পর্যায়ে ৮০০টি নতুন বাচ্চা পালন করে নিট আয় দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার টাকা। খামারের আয় দিয়ে আখিনুর দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বের হতে শুরু করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, বড় ধরনের কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হলে সফলতা আসবেই। এ পথ চলায় সার্বিক সহায়তা করার জন্য প্রসপারিটি প্রকল্পের কর্মকর্তাদের তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।