বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই ইয়ুথ এসেম্বলির যুবরা বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়েও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।বিগত এপ্রিল ২০২১ এসেম্বলির উদ্যোগে শুরু হওয়া দেশব্যাপী প্রচারাভিযান কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ১১ জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে। মোট ৮৯ জন যুব সদস্য যুক্ত থেকে ৫ সহস্রাধিক মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেছে। এছাড়া স্যানিটাইজার বিতরণ এবং স্থানীয় মানুষকে মাস্ক ব্যবহারের নিয়ম ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
যারা প্রয়োজনের তাগিদে বাইরে বের হন তাদের কথা মাথায় রেখে যুব সদস্যরা মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ওয়াহাব মার্কেটের সামনে হ্যান্ড ওয়াশিং পয়েন্ট স্থাপন করেছে। যুবদের এ সকল বহুমুখী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে শ্রীপুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বলেন, ‘‘সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ইয়ুথ এসেম্বলির উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। মাগুরা ইয়ুথ এসেম্বলির সকল সদস্যদের ধন্যবাদ। সকলকে মাস্ক পরার ও হ্যান্ড ওয়াশিং পয়েন্টে হাত ধোয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। আসুন, আমরা ভয় না করে নিজ নিজ জায়গা থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।” মাঠ পর্যায়ে কাজের পাশাপাশি যুব সদস্যরা করোনা প্রতিরোধ ও প্রতিকারে করণীয় বিষয়ে অনলাইনেও বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইয়ুথ এসেম্বলি-এর ফেসবুক পেইজে এ পর্যন্ত ৪০ জন যুব সদস্যের করোনা সচেতনতা বিষয়ক নিজস্ব মতামত তাদের ছবিসহ প্রকাশিত হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে সহজে সচেতনতা বিষয়ক তথ্য পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ৫টি ভিডিও বার্তা এই পেইজ থেকে নিয়মিত প্রচারিত হচ্ছে।
পাশাপাশি করোনাকালে যারা সরাসরি মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন এমন একজন প্রতিনিধিকে (নিউট্রিশনিস্ট) নিয়ে ফেসবুক পেইজ থেকে লাইভ প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। যেখানে এ সময়ে ইমিউনিটি সিস্টেম বাড়াতে খাবারের গাইড লাইন নিয়ে আলোচনা হয়। শুরু থেকেই ইয়ুথ এসেম্বলির এ সকল উদ্যোগে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করে আসছে ওয়েভ ফাউন্ডেশন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যুবদের এসকল কার্যক্রম প্রশংসিত হচ্ছে এবং একইসাথে স্থানীয় জনগণ তাদের স্বাগত জানিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করছে।