যশোর জেলার শার্শা উপজেলার কপোতাক্ষ নদীর তীরবর্তী নিজামপুর ইউনিয়নের কন্দপপুর গ্রামের সহজ সরল পরিশ্রমী নারী আসমা খাতুন শিলা (২৬)। স্বামী সন্তান নিয়ে পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তার বিয়ে হয়। অভাবের সংসারে দুঃখদুর্দশা তার নিত্যসঙ্গী। স্বামীর সাথে পরামর্শ করে কিছু রোজগার করার চিন্তা-ভাবনা করেন আসমা এবং বাড়ির আঙ্গিনায় একটি গোয়াল ঘর তৈরি করে গরু পালনের সিদ্ধান্ত নেন।
সেই মোতাবেক আসমা একটি গাভী গরু দিয়ে তার কর্মপরিকল্পনার যাত্রা শুরু করেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই গরুটির একটি বাছুর হয়। দুধ বিক্রি করে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টাকা আয় হতে থাকে। লাভের কথা চিন্তা করে, বড় পরিসরে গরু পালন করার চিন্তা করেন আসমা। কিন্তু এক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় টাকা। টাকার জন্য দিশেহারা হয়ে পড়েন আসমা খাতুন শিলা। এমন সময় প্রতিবেশী সাহারা খাতুনের মাধ্যমে ওয়েভ ফাউন্ডেশন-এর নাভারণ ইউনিট অফিস পরিচালিত যুথী-২ মহিলা সমিতির সদস্য হিসেবে ভর্তি হন এবং গত ৫ জুন ৩ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে আরো ৬টি গরু কিনে লালন-পালন শুরু করেন। ৩টি গরু থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ লিটার দুধ পান, যা থেকে মাসে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা আয় হয়। বর্তমানে আসমার ছেলেমেয়েরা সবাই স্কুলে পড়ছে।
আসমা হাসি মুখে বলেন, “ওয়েভ ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতা ছিল বলেই আজ আমি এখানে আসতে পারছি। এলাকার মানুষের কাছে আমি এখন সফল উদ্যোক্তা শিলা আপা নামে পরিচিত।”
এভাবে সঠিক পরিকল্পনা আর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দারিদ্র্যকে জয় করে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে আসমা খাতুন শিলা। এলাকার অনেকেই আসমার কাছে আসেন, শুনতে চান তার জীবনের মোড় ঘোরানো গল্প।