সমাজের পিছিয়ে পড়া, পিছিয়ে রাখা ও পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সংস্থা ২০২০ সাল হতে পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল-ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (পিপিইপিপি-ইইউ) প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের বহুমুখী কার্যক্রমের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য কাজ হলো কিশোরীদের নিয়ে ক্লাব গঠন। পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পের আওতায় মোট ১৪টি ক্লাব রয়েছে। প্রতিটি কিশোরী ক্লাবে ২৪ থেকে ৩০ জন সদস্য থাকে। যেখানে ৫-৬ জন কিশোরী নিয়ে ছোট ছোট দল এবং প্রত্যেক দল থেকে ১জন করে নিয়ে কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।
ক্লাবগুলো পাক্ষিক ভিত্তিতে সভা করে থাকে। এ সকল সভায় সদস্যরা নিজেদের মানবিকতা, সামাজিক মূল্যবোধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে নিজেদের সক্ষমতা সৃষ্টির পাশাপাশি সামাজিকভাবে কাজ করার পরিকল্পনা করে যাচ্ছে। ক্লাবের কিশোরী সদস্যরা মা ও শিশুর সুরক্ষা, আত্মনির্ভরশীলতা ও আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় শিক্ষা গ্রহণসহ যোগাযোগ ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা, সৃজনশীল চিন্তা ও বিশ্লেষণমূলক গভীর চিন্তন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করছে।
এছাড়া শিশু সুরক্ষা নিয়ে বাল্যবিবাহের কুফল এবং অপুষ্টির সাথে বাল্যবিবাহের সম্পর্ক, যৌতুক, শিশু নির্যাতন ও শিশু শ্রম প্রতিরোধে ক্লাবের সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধীবান্ধব সমাজ প্রতিষ্ঠা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বৃক্ষরোপণের মতো কাজ করছে। গত ২৩-২৯ এপ্রিল ২০২৩ জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালন বিষয়ে ক্লাবগুলো বেশ কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করে। কিশোরী ক্লাবের কাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিবেচনায় স্থানীয় জনগণ এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকলের মতামতের প্রেক্ষিতে আগামী ১ জুন ২০২৩ থেকে কিশোরী ক্লাবের নতুন নাম ‘সামাজিক উন্নয়ন কেন্দ্র’ হিসেবে পরিচালিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সকলের প্রত্যাশা এবং বিশ্বাস, এ সংগঠনটি এলাকার গঠনমূলক ও ইতিবাচক পরিবর্তনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।