অভাবের কারণে নীলিমা রাণী বিশ্বাসের পরিবার ৫ বছর আগে যশোর জেলার মনিরামপুর থানার কমলাপুর গ্রাম থেকে খুলনা মহানগরে চলে আসে। বর্তমানে তারা খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ১৪ নং ওয়ার্ড রায়ের মহলে বসবাস করেন। এখানে আসার পরও দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে দিন কাটছিল নীলিমার পরিবারের।
এমতাবস্থায় ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে জিআইজেড-এর সহায়তায় সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত “জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তরিত অভিবাসীদের নগর ব্যবস্থাপনা” প্রকল্পের অধীনে নীলিমা ২টি মা ছাগল ও একটি মাচাসহ ছাগলের ঘর অনুদান হিসেবে পান। পরবর্তীতে মাচা পদ্ধতিতে ছাগল পালন বিষয়ে ২ দিনের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে ছাগলের টিকা দান, কৃমিনাশক ঔষধ ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর নিয়মাবলীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারেন। নীলিমার স্বামীও এখন তাকে সহযোগিতা করেন। প্রতিদিন ছাগলের পরিচর্যা করেন এবং মাঠ থেকে ঘাস কেটে আনেন।
২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত তাদের খামারে মোট ১১টি ছাগল উৎপাদিত হয়। গত জুলাই মাসে তারা দুইটি খাসি ছাগল যথাক্রমে ১২ হাজার এবং ৯ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন। একই বছরের আগস্ট মাসে বসতভিটার জমি ক্রয়ের জন্য আরও ৪টি ছাগল ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এ পর্যন্ত তারা মোট ৭টি ছাগল ৪১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন। বর্তমানে তাদের খামারে ৪টি ছাগল এবং গোয়ালে ২টি গরু আছে।
নীলিমা রাণী বলেন, “ওয়েভ ফাউন্ডেশন এবং জিআইজেড আমাদের যে উপকার করেছে তা কখনো ভোলার নয়। ভবিষ্যতে আমি একজন সফল খামারি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমার স্বপ্ন সবসময় ঘরে ৯-১০টি ছাগল থাকবে।”