সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ধোপাখালী প্রবীণ সামাজিক কেন্দ্রে গত ২ নভেম্বর, বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে ৯ নভেম্বর এবং দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে ১৬ নভেম্বর বিনামূল্যে চক্ষু স্বাস্থ্য ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামাঞ্চলের অতি-দরিদ্র ও সাধারণ মানুষ, বিশেষত বয়স্ক নারী-পুরুষসহ কিছু শিশুকে চক্ষু স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ওয়েভ ফাউন্ডেশন ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ যৌথভাবে এ ক্যাম্প পরিচালনা করে ।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জুনিয়র চক্ষু কনসালটেন্ট, ডা. আবু এহসান ওয়াহেদ এ ক্যাম্পসমূহ পরিচালনা করেন। এছাড়া সমৃদ্ধি কর্মসূচির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য পরিদর্শকগণ ক্যাম্প পরিচালনায় সহায়তা করেন এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য, প্রবীণ কমিটি, ওয়ার্ড কমিটি ও সমৃদ্ধি যুব কমিটির প্রতিনিধিবৃন্দ। চক্ষু ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের বর্তমান ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় সামাজিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
তিনটি চক্ষু ক্যাম্পে নারী-পুরুষ-শিশুসহ মোট ৪৬১ জন (মনোহরপুর ১৫৩ জন, বাঁকা ১৫০ জন ও পার-কৃঞ্চপুর মদনা ১৫৮ জন) চক্ষুরোগী উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সকল রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা, ব্যবস্থাপত্র ও চোখের বর্তমান অবস্থাভেদে ঔষধ প্রদান করা হয়। ডাক্তারের মতামত অনুযায়ী চোখের ছানি অপারেশনের জন্য প্রতি ইউনিয়ন থেকে ১৫ জন করে মোট ৪৫ জনকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে। বাছাইকৃত রোগীদের মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে চূড়ান্তভাবে ১১ জন করে মোট ৩৩ জন রোগীকে ডিসেম্বর, ২০২১ থেকে চুয়াডাঙ্গা রেডক্রিসেন্ট হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কর্তৃক বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন সম্পন্ন করা হবে। উল্লেখ্য যে, গত অক্টোবরে একই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কর্তৃক সীমান্ত, উথলী ও কেডিকে ইউনিয়নে বিনামূল্যে ঔষধ প্রদানসহ চক্ষু ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়। এছাড়া ডিসেম্বরেই মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নে ক্যাম্প পরিচালিত হবে এবং সেখান থেকেও আরো ৪৪ জন অর্থাৎ মোট ৭৭ জন রোগীর বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন সম্পন্ন করা হবে। আশা করা যাচ্ছে, অপারেশনের পর সবাই আবার আগের মতো চোখের আলো ফিরে পাবে।