Rural Microenterprise Transformation Project এরআওতায় ‘নিরাপদ মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার উন্নয়ন’ শীর্ষক ভ্যালুচেইন উপ-প্রকল্পটি সংস্থা ইফাদ, ড্যানিডা এবং পিকেএসএফের সহায়তায় ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় বাস্তবায়ন করছে। বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হওয়ায় মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি প্লান্ট স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিগত ২৭ জুন ২০২২ তার বাড়িতে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করা হয়। প্লান্ট স্থাপনে তার মোট খরচ হয় ৫০ হাজার টাকা। উপকারভোগী মাসুদ রানা এ প্রকল্প থেকে ২৫ হাজার টাকা অনুদান পান এবং অবশিষ্ট টাকা নিজে প্রদান করেন।
মাসুদ রানার পরিবার বায়োগ্যাস প্লান্ট ব্যবহার করে ১ জুলাই হতে রান্নার কাজ শুরু করেন। তার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৬ জন। দিনে ৩ বার রান্না করতে গড়ে প্রতি মাসে জ্বালানি বাবদ খরচ হয় ১৫০০ টাকা যার পুরোটাই এখন তার সাশ্রয় হচ্ছে। মাসুদ রানার একটি গরুর খামার রয়েছে যেখানে প্রতিদিন ১০টি গরু হতে বায়োগ্যাস প্লান্টের জন্য ৭০ কেজি গোবর পাওয়া যায়। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ ঘন্টা জ¦লতে সক্ষম এই প্লান্ট পরিবারের পুরো চাহিদাই পূরণ করে।
সাধারণ চুলায় রান্নার ফলে আগে প্রচুর ধোঁয়া হতো, যা পরিবারের সদস্য ও শিশুদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে শরীরে প্রবেশ করে ঠান্ডা-কাশিজনিত রোগের প্রকোপ ঘটাতো। বায়োগ্যাস ব্যবহারের ফলে মাসুদ রানার পরিবার এ ধরনের সংক্রামক রোগব্যাধি থেকে অনেকটাই মুক্তি পেয়েছে। তাছাড়া বায়োগ্যাস প্লান্ট পরিবেশবান্ধব হওয়ায় জালবায়ু ঝুঁকিহ্রাসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মাসুদ রানাকে দেখে এলাকার অনেকেই বায়োগ্যাস প্লান্ট বসাতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনে সার্বিক সহায়তার জন্য মাসুদ রানা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “পরিবারের জ্বালানি খরচ কমার পাশাপাশি পরিবেশের ক্ষতি রোধে সামান্য ভূমিকা রাখতে পেরে আমার খুব ভাল লাগছে। এই প্রযুক্তির প্রসারে অন্যরাও যাতে ওয়েভের সাহায্য পান, আমি সেই চেষ্টা করবো।”