গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে “খাদ্য উৎপাদন, আমদানি ও বাজার পরিস্থিতি: প্রেক্ষিত খাদ্য অধিকার” শীর্ষক এক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ-এর সভাপতিত্বে এবং নেটওয়ার্ক-এর সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী-এর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এমপি।
এতে সম্মানীয় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রী) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের দেশীয় অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ। ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাহানোয়ার সাইদ শাহীন, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম ও জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, দৈনিক বণিক বার্তা।
প্রধান অতিথি খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “কৃষি মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কোনো সমন্বয়ের অভাব নেই। তবে আমাদের কিছুটা তথ্য বিভ্রান্তি রয়েছে । আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের সততার কিছুটা অভাব রয়েছে। তারা মানবতার থেকে লাভটা বেশি গুরুত্ব দেয়। ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ, বাজার মনিটরিং এবং ন্যায্যমূল্য ঠিক করতে মূল্য কমিশন করতে হবে।”
ড. মোঃ শাহজাহান কবীর বলেন, “ভবিষ্যৎ খাদ্য নিশ্চিতকরণের ধারাবাহিকতায় ব্রী রাইস ভিশন ২০৫০ রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে। পাশাপাশি ডাব্লিং রাইস প্রডাক্টিভি-২০৩০ রূপরেখা প্রণয়ন করেছে যার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ধানের উৎপাদন দ্বিগুণ করা।” ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে কৃষিতে সাফল্য এসেছে কারণ সরকার কৃষি-গবেষণার ক্ষেত্রটিতে যথেষ্ট মনোযোগ দিয়েছে। এটাকে অব্যাহত রেখে দেশীয় সম্পদকে ব্যবহার করে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে কী করা যেতে পারে সে ব্যাপারেও গবেষণা বৃদ্ধি করতে হবে। এটা গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, কৃষক ও ভোক্তাও এতে উপকৃত হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, “কোভিডকালে কৃষি খাত আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। খাদ্য অধিকার আইন ভারত এবং নেপাল করে ফেলেছে। এ বিষয়ে আমরা পিছিয়ে গেছি। অতি দ্রুত তা করতে হবে।”
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে মহসিন আলী বলেন, Òআমরা খাদ্যকে জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী মানবাধিকার মনে করি। খাদ্যের সাথে কৃষি, বাজার ও আমদানি জড়িত। করোনা নিয়ন্ত্রণে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা অব্যাহত থাকলে এবং নাগরিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আগামী দিনে আমাদের দেশ আরও ভালো অবস্থানে যাবে।”