ওয়েভ ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে সরকারি সেবাসমূহের দায়বদ্ধতা-রেসপন্স প্রকল্পের অধীনে গত ফেব্রুয়ারি মাসে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠী”র মাঝে জীবিকায়ন সহায়তা প্রদান করা হয়। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও ইউকেএইডের সহায়তায় পরিচালিত এ কর্মসূচির অধীনে প্রত্যেক নির্বাচিত উপকারভোগীকে নগদ ৭০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। মাগুরা জেলার শ্রীপুর ও মহম্মদপুর উপজেলার ২৫০ জন প্রকল্প উপকারভোগীর মাঝে এ সহায়তা প্রদান সম্পন্ন হয়েছে।
উপকারভোগীদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি এ অর্থ পেয়েছেন ডিজিটাল পদ্ধতিতে বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় প্রকৃত দুস্থ, বিধবা বা জেলে পরিবারের নারী, যারা বিভিন্ন আয়বর্ধক কাজের সাথে যুক্ত, শুধু তারাই এ সহায়তার আওতায় এসেছেন। কর্মসূচির স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রত্যেক উপকারভোগীর কাছ থেকে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ও মাস্টাররোলে স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রকল্পের কমিউনিটি গ্রুপ সদস্যদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছিল ওয়ার্র্ডভিত্তিক অর্থ বিতরণ ও পর্যবেক্ষণ কমিটি। এছাড়াও গঠিত হয়েছিল ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা ভিত্তিক অভিযোগ প্রতিকার কমিটি। গত ৯ ফেব্রুয়ারি মহম্মদপুর উপজেলার দিঘা ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে জীবিকায়ন সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. খোকন মিয়া, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মহসিন কবীর, উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রবিউল হাসান এবং অর্থ বিতরণ ও পর্যবেক্ষণ কমিটি, ইউপি সদস্য, লোকমোর্চা ও কমিউনিটি গ্রুপের সদস্যবৃন্দ। অপরদিকে ১০ ফেব্রুয়ারি শ্রীপুরের শ্রীকোল ইউনিয়নে জীবিকায়ন সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হয় খামারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে। এতে উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসিন কবীর, শ্রীকোল ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মোস্তকিম বিল্লাহ সংগ্রাম, জেলা লোকমোর্চা সভাপতি আব্দুর রউফ মাখন, ইউনিয়ন লোকমোর্চা সভাপতি মো. হাফিজার রহমান এবং সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যবৃন্দ। জীবিকায়ন সহায়তার অর্থ দিয়ে উপকারভোগীরা ইতিমধ্যে তাদের আয়বর্ধক কার্যক্রমগুলোতে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছেন। আশা করা যাচ্ছে, এ সহায়তার ফলে স্বল্প পরিসরে হলেও কোভিডকালীন আর্থিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম এগিয়ে যাবে।