গত ২১ মে ২০২৩ বিশ্ব সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের যুব প্লাটফর্ম ইয়ুথ এসেম্বলি ‘CULTURE AND DIVERSITY: WHY DIALOGUE MATTERS?’ শিরোনামে একটি ওয়েবিনার আয়োজন করে। ওয়েভ ফাউন্ডেশন ও ইয়ুথ এসেম্বলি-এর ফেসবুক পেইজে ওয়েবিনারটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। যেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক রাবিতা রহমান, USAID Bangladesh এর Local Health System Sustainability (LHSS) প্রকল্পের টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর আব্দুস সবুর এবং উন্নয়ন ও সংস্কৃতি কর্মী ওয়ারদা আশরাফ।
ওয়েবিনারে সংস্কৃতির বৈচিত্র্যতা ও সহাবস্থান নিশ্চিত করতে ডায়ালগের প্রয়োজনীয়তা, সাংস্কৃতিক বৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ও পক্ষের ভূমিকা, কর্মক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতার সম্প্রীতি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন অতিথিরা। আলোচনাকালে সাংস্কৃতিক বৈষম্য কমিয়ে আনতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা প্রসঙ্গে রাবিতা রহমান বলেন “সংস্কৃতির বৈচিত্র্য ও সম্প্রীতি গড়ে তুলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। এখান থেকেই ছেলেমেয়েরা দেশীয় সংস্কৃতিকে লালন তথা বৈশ্বিক সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি গড়ে তোলার প্রয়াস শিখবে।” আব্দুস সবুর বলেন, “কালচারাল ডাইভারসিটির বিউটি তুলে ধরা গেলে সাংস্কৃতিক বৈষম্য দূর করা সম্ভব।” এছাড়া ওয়েবিনারে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের বিষয়টি ফুটিয়ে তুলতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর আঞ্চলিক ভাষায় গান করেন ওয়ারদা আশরাফ। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সংস্থার প্রোগ্রাম অফিসার মো. মাসুদ পারভেজ।
ইয়ুথদের পক্ষে যুব প্রতিনিধি উম্মে ফারিহা নানজীবা বলেন, “আমাদের দেশে চার কোটি ইয়ুথ আছে। শান্তিপূর্ণ এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের ওয়েবিনার ইয়ুথদের মাঝে সাংস্কৃতিক মিথষ্ক্রিয়ায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমি মনে করি”। অতিথিদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইয়ুথ এসেম্বলির যুবরা ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। লাইভ চলাকালীন কমেন্টের মাধ্যমে তারা সংস্কৃতি ও সম্প্রীতি বিষয়ে মতামত তুলে ধরে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান। অতিথিরা ইয়ুথদের মতামতকে সাধুবাদ জানিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের আলোকে আলোচনা করেন। আলোচনায় অতিথিরা নিজ সংস্কৃতি লালন ও পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতাকে সকলের জন্য ইতিবাচক করে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য যে, ইয়ুথ এসেম্বলি যুবদের নিয়ে গঠিত ওয়েভ ফাউন্ডেশনের একটি প্লাটফর্ম। যা ২০১৩ সাল থেকে যুব অধিকার ও উন্নয়ন নিয়ে বিভিন্ন কাজ করে আসছে। মূলত শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান ইস্যুতে যুবদের সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্পেইন ও পলিসি এডভোকেসি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।