১৮ অক্টোবর ২০২৩ শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন। ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির ৩২নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু ভবন আলোকিত করে শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন। বাবার বুকের গভীরে মুখ রেখে সাহস আর বীরত্বের উষ্ণতা নেবার যখন ছিল শ্রেষ্ঠ সময়, ঠিক তখনই ঘাতকের দল তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাঁর মৃত্যুতে ঝরে গিয়েছিল অসংখ্য নিভৃত স্বপ্ন। শেখ রাসেল স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুত্র, এটাই হয়তো ছিল তাঁর একমাত্র এবং সবচেয়ে বড় অপরাধ। এত বছর পরেও মনে হয় রাসেলের ভয় আর কান্না জড়ানো কন্ঠে ঘাতকদের যদি একটু মায়া হত, বেঁচে যেতো রাসেল। শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন পালনকালে আমাদের বুকটাও বেদনায় ভারী হয়ে আসে। দিবসটিকে ঘিরে ওয়েভ ফাউন্ডেশন তার সকল কর্মএলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করে।

অফিস ভবনে ব্যানার টানানো
১৮ই অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস ও শেখ রাসেলের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ও ১৫ই আগস্টের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সংস্থার প্রধান কার্যালয়সহ সকল অফিসের দৃশ্যমান স্থানে ব্যানার টানানো হয়।

শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ
সংস্থার প্রধান কার্যালয়, বেইজ অফিস ও মাঠ পর্যায়ের সকল অফিসে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতি স্থাপন করে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয় এবং দেশ থেকে সকল অপশক্তিকে রুখে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন এবং রচনা লেখা প্রতিযোগিতা
সংস্থার বেইজ অফিসে শেখ রাসেল দিবসটির আনন্দ আর বেদনার রঙ শিশুদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন এবং রচনা লেখা প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। চিত্রাংকনের বিষয় ছিল আমাদের চেতনায় শেখ রাসেল এবং রচনা লেখা প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল শেখ রাসেল।

আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ
সংস্থার প্রধান কার্যালয়, বেইজ অফিস ও মাঠ পর্যায়ের বেশ কিছু অফিসে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সংস্থার সাধারণ পরিষদ ও নির্বাহী পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ, ছাত্র-ছাত্রী, সংস্থার নিয়োজিত কর্মী/কর্মকর্তাগণ এবং স্থানীয় যুবদের অংশগ্রহণে সফলভাবে এসব আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বেইজ অফিস দর্শনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ও দর্শনা পৌরসভার মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু বলেন, শিশু রাসেলকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে ঘাতকরা মানব সভ্যতার ইতিহাসে জঘন্যতম অপরাধ করেছে। এ ধরনের নিষ্ঠুর হত্যাকান্ড শুধু রাসেলের জীবনকেই কেড়ে নেয়নি, সেই সঙ্গে ধ্বংস করেছে তার সব অবিকশিত সম্ভাবনাও। সংস্থার গভর্নিং বডির সদস্য ফজলুল হক বলেন, এমন অপরাধ যেন বাংলাদেশের মাটিতে আর না ঘটে। আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় সকল শিশুর অধিকার ও শিশুর জন্য নিরাপদ বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত হবে।

দুস্থ, দরিদ্র ও এতিম শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে দুস্থ, দরিদ্র ও এতিম শিশুদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। সংস্থার বেইজ অফিস দর্শনায় খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার গভর্নিং বডি ও জেনারেল বডির সদস্য, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ।

আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন কর্মসূচি
বাংলাদেশ সরকারের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো’র সহযোগিতায় পরিচালিত ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন কর্মসূচি’র ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণে প্রকল্পের কর্মএলাকা দর্শনায় র‌্যালি, আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাংকন এবং দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। শিক্ষক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ শেখ রাসেলকে নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে গল্পাকারে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্কুল কমিটির সদস্য, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ। 

ওয়েবসাইট ও সোস্যাল মিডিয়ায় শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
শেখ রাসেল দিবসের তাৎপর্য সকল মানুষের মাঝে তুলে ধরার জন্য সংস্থা কেন্দ্রীয়ভাবে নিজস্ব ওয়েবসাইট ও ফেইসবুক পেইজে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে। এছাড়াও সংস্থার ভিন্ন ভিন্ন অফিস পর্যায়ের ফেইসবুক  পেইজে শেখ রাসেল দিবসের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়।

Contact Us

We're not around right now. But you can send us an email and we'll get back to you, asap.

Not readable? Change text. captcha txt