কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া গ্রামের মোছা. মুসলিমা খাতুন, একসময় যার সংসার অভাব-অনটনে জর্জরিত ছিল, আজ তিনি গবাদিপশু পালনের মাধ্যমে আর্থিক স্বচ্ছলতার উদাহরণ। তার এই সফলতার পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম, সঠিক পরিকল্পনা এবং ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতা।
মুসলিমা খাতুন ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির পদ্মা মহিলা সমিতিতে সদস্যপদ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ছাগল পালন শুরু করেন। এতে সামান্য লাভ হওয়ায় পরবর্তী বছর ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে এই কাজকে আরও বিস্তৃত করেন। ধীরে ধীরে ঋণ পরিশোধের পাশাপাশি তিনি নিজের জন্য কিছু পুঁজি গড়ে তোলেন।
পরিবারে স্বচ্ছলতা আনতে মুসলিমা খাতুন এবং তার স্বামী গরু মোটাতাজাকরণের দিকে মনোযোগ দেন। ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উজ্জীবিত প্রকল্প থেকে গরু পালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ২০২২ সালে ২,০০,০০০ টাকা ঋণ নিয়ে গরু পালন শুরু করেন। প্রথমবারেই লাভজনক হওয়ায় তিনি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ৪ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে তার উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত করেন।
বর্তমানে মুসলিমা খাতুনের খামারে রয়েছে চারটি ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী। নিয়মিত ঋণ পরিশোধের পাশাপাশি তিনি পুঁজির টাকা দিয়ে একটি বড় ঘর এবং একটি স্বাস্থ্যসম্মত পাকা ল্যাট্রিন তৈরি করেছেন। তার উদ্যোগ কেবল তার পরিবারকেই স্বচ্ছল করেছে তা নয়, এটি তার কমিউনিটিতেও তাকে পরিশ্রমী হিসেবে সুনাম অর্জন করতে সাহায্য করেছে। তিনি বর্তমানে একজন সফল নারী উদ্যোক্তার উদাহরণ, যা তার কমিউনিটির অন্য নারীদের জন্যও অনুপ্রেরণাদায়ক। তিনি বলেন, “আমার মতো অন্যান্য নারীরাও এমন উদ্যমী হলে একদিকে যেমন স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব, অন্যদিকে নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে।”