ওয়েভ ট্রেড ট্রেনিং সেন্টারের উদ্বোধন এবং কমিউনিটি অর্থায়ন কর্মসূচির ২০২১-২২ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকারীদের সম্মাননা অনুষ্ঠান উপলক্ষে গত ৩০ আগস্ট ২০২২ সংস্থার ট্রেড ট্রেনিং সেন্টার ক্যাম্পাসে “চুয়াডাঙ্গা জেলা কর্মী সভা’ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের সম্মানিত চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. জাহেদা আহমদ ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. জসীম উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এ আয়োজন সফল করতে সার্বিক নির্দেশনা প্রদান করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় বাস্তবায়িত বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্পের প্রায় ৩০০ জন কর্মী-কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সাধারণ পরিষদের অন্যতম সদস্য শামীম আরা প্রভাতী, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক আমিরুল ইসলাম এবং কমিউনিটি অর্থায়ন কর্মসূচির পরিচালক কফিল উদ্দীন আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে সাথে নিয়ে প্রধান অতিথি ‘ওয়েভ ট্রেড ট্রেনিং সেন্টার’-এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং সেন্টারটি ঘুরে দেখার পাশাপাশি সেখানে চলমান চারটি কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে আলাপ করেন। এরপর অতিথিবৃন্দ কমিউনিটি অর্থায়ন কর্মসূচির ২০২১-২২ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকারীদের বিশেষ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান উপলক্ষে ‘চুয়াডাঙ্গা জেলা কর্মী সভা’য় যোগদান করেন।
২০২১-২২ অর্থবছরে কমিউনিটি অর্থায়ন কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সংস্থার সমগ্র কর্মএলাকার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা রিজিওন সর্বোচ্চ ভালো ফলাফল অর্জন করায় এ জেলায় ওয়েভ ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত অন্যান্য কর্মসূচি ও প্রকল্পের সকল সহকর্মীদের পক্ষ থেকে এ সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ রিজিওনে সংস্থা ঘোষিত ১৬ জন কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার (সিডিও), ৭ জন হিসাব কর্মকর্তা, ২ জন এরিয়া ম্যানেজার, ১জন রিজিওনাল ম্যানেজারসহ ৯টি ইউনিট অফিসকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। বরেণ্য অতিথিবৃন্দের কাছ থেকে সম্মাননা গ্রহণকারী কর্মী-কর্মকর্তাগণ অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, “আগামী দিনে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এ ধরনের সম্মাননা আমাদের কর্মস্পৃহা ও মনোযোগ বৃদ্ধিতে প্রেরণা জোগাবে এবং অন্যান্য সকলের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।”
উপস্থিত অতিথিবৃন্দ বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ভালো কাজের জন্য সহকর্মীদের পক্ষ থেকে এমন আয়োজন আগামী দিনে সংস্থার অভ্যন্তরে কাজের পরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি কর্মীদের মধ্যে ফলাফল-নির্ভর কাজের অভ্যাস তৈরি করবে এবং সমগ্র কর্মএলাকায় কাজ নিয়ে বিশেষ উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হবে। এক্ষেত্রে গুণগত মানসম্পন্ন কাজের অর্জন নিয়ে নিজেদের মধ্যে আন্তঃপ্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ব্যক্তিগত ও দলীয়ভাবে ভালো কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে। অতিথিবৃন্দ আরও বলেন, সহকর্মীদের পক্ষ থেকে এ ধরনের সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে এবং আগামীতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।