News – WAVE Foundation https://wavefoundationbd.org Stay Safe - Together for Better Life Mon, 07 Oct 2024 10:28:25 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.6.2 https://wavefoundationbd.org/wp-content/uploads/2018/10/cropped-wave-logofvcsm-2-32x32.png News – WAVE Foundation https://wavefoundationbd.org 32 32 191699977 সাইকেল ব্যবসায় ইসমাইলের অভাবনীয় সাফল্য https://wavefoundationbd.org/news-posts/ismails-incredible-success-in-the-bicycle-business/ Mon, 07 Oct 2024 06:02:45 +0000 https://wavefoundationbd.org/?post_type=news&p=11592 নাটোর জেলার সদর উপজেলার অন্তর্গত নীচাবাজার পল্লী গ্রামে ইসমাইল হোসেন ও তার স্ত্রী মোসা. আসমা বেগমের বসবাস। তার বাবার তেমন কোনো জায়গা-জমি ছিল না। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের সংসারে ইসমাইল হোসেন ছিলেন সবার বড়। অভাব-অনটনের সংসারে ছিল নানারকম অশান্তি। বাবা-মা বৃদ্ধ হওয়ায় তাদের কথা চিন্তা করে আসমা বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ইসমাইল। বিয়ের পরে সংসার খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় দুঃখ-কষ্ট আরও বাড়তে থাকে। এরইমধ্যে তাদের ঘর আলোকিত করে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। ফলে দিন দিন সংসারের ব্যয়ভার আরও বাড়তে থাকে।

এমন সময় ইসমাইল সাইকেল মেরামতের দোকান করার বিষয়ে তার স্ত্রীর সাথে কথা বলেন। কিন্তু দোকান করতে প্রাথমিক পর্যায়ে যে মূলধনের প্রয়োজন তা তাদের ছিল না। আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথা বলে, তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন কূল-কিনারা পান নাই। একদিন এক প্রতিবেশীর নিকট হতে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির বিষয়ে জানতে পেরে ইসমাইল নাটোর সদর ইউনিটের অগ্রদূত পুরুষ সমিতিতে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে ইসমাইল সমিতিতে ভর্তি হন এবং ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ প্রথম দফায় ৫ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। এর সাথে জমানো টাকা মিলিয়ে ১০০টি বাইসাইকেল ও প্রয়োজনীয় পার্টস্ ক্রয় করে ব্যবসা শুরু করেন। ধীরে ধীরে তাদের ব্যবসার সম্প্রসারণ হতে থাকে। মাত্র এক বছর পর ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ পুনরায় ওয়েভ ফাউন্ডেশন হতে ১ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ১৫ কাঠা জমি ক্রয় করেন এবং সাইকেলের ব্যবসা আরও বড় করেন।

এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাদের ব্যবসায় সমৃদ্ধি আসে। সাইকেল রাখার গ্যারেজ করার লক্ষ্যে পাঁচতলা ফাউন্ডেশনের একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। আগের ঋণ পরিশোধ হলে ২০২১ সালে পুনরায় ১০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। সাইকেলের ব্যবসা ও বাড়ি ভাড়া থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৫০-৬০ হাজার টাকা লাভ হয়। তার দোকানে এখন ৪০০টির বেশি সাইকেল আছে, যার আনুমানিক মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা। এভাবে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের হাত ধরে প্রতি বছর একটু একটু করে ইসমাইল সাইকেলের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে থাকেন।

যে ইসমাইল হোসেন এবং তার স্ত্রীর গ্রামে কোন গ্রহণযোগ্যতা ছিল না, অবহেলিতভাবে বসবাস করতেন, সেখানে এখন তার পরিচিতি এলাকা জুড়ে। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ডাক পেয়ে থাকেন, এলাকার মানুষ ইসমাইলের কাছে সাইকেলের কাজ শিখতে আসেন। বর্তমানে তার দোকানে ৬ জন লোক কাজ করেন। তাকে অনুকরণ করে আরো অনেকে ব্যবসা করার জন্য উদ্যোগী হচ্ছেন। ইসমাইল তার এ অভাবনীয় উন্নয়নে গর্ববোধ করেন এবং ওয়েভ ফাউন্ডেশনের হাত ধরে দারিদ্র্যকে জয় করতে পেরে সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি সাইকেল ব্যবসাটি আরও বড় করতে চান, যাতে সেখানে আরো অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ডিলারশিপ নিয়ে ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ আকারে ব্যবসাটি পরিচালনা করতে চান ইসমাইল।

]]>
11592
“এসো জীবন বাঁচাই, সমাজের সব অবক্ষয় কিশোর-কিশোরীরা রুখে দিতে চায়” https://wavefoundationbd.org/news-posts/lets-save-life-teenagers-want-to-stop-all-the-degradation-of-society/ Sun, 06 Oct 2024 11:15:47 +0000 https://wavefoundationbd.org/?post_type=news&p=11589 পিকেএসএফ ও ওয়েভ ফাউন্ডেশন যৌথভাবে কৈশোর কর্মসূচির মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের ক্লাব গঠন ও নানাবিধ সৃজনশীল কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তাদেরকে মানবিক, দক্ষ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার এক মাসিক সমন্বয় সভায় তরুণদের নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক মতবিনিময়ের প্রয়োজনীয়তা এবং সামাজিক অবক্ষয় রোধ ও কিশোর-কিশোরীদের শিক্ষানুরাগী হিসেবে গড়ে তুলতে তথ্যবহুল পথ নাটক ও লোকসঙ্গীতের মাধ্যমে প্রচারণার গুরুত্বেও বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। সে ধারাবাহিকতায় দামুড়হুদা উপজেলার তিনটি ক্লাব বাল্যবিবাহ, যৌন হয়রানি, শিশুশ্রম, আত্মহত্যা প্রবণতা ইত্যাদি রোধে করণীয় বিষয়ে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের ভূমিকা সম্বলিত নাটক রচনা ও কর্মশালার মাধ্যমে নাটকের দল গঠন করে ক্ষুদ্র পরিসরে পরিবেশনা শুরু করে।

ইতিমধ্যে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা জেলাস্থ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক সংগঠন, গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের এক অনুষ্ঠানে বলেন, “আমার জানা মতে, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও কুষ্টিয়া জেলা আত্মহত্যাপ্রবণ এলাকা। আমি চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪টি উপজেলায় আত্মহত্যা প্রবণতা রোধে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে চাই। সে ক্ষেত্রে কোনো সংস্থার অভিজ্ঞতা, আগ্রহ ও সক্ষমতা আছে জানলে পদক্ষেপ নিতে সুবিধা হবে।” সেখানে উপস্থিত অধিকাংশই ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ‘লোক থিয়েটার’ এর কথা বললে প্রাথমিকভাবে দায়িত্বটা সংস্থাকেই দেওয়া হয়। এরপর বিগত ১৬ মে ২০২৪ জেলা প্রশাসক ওয়েভ ফাউন্ডেশনের জীবননগর অফিসে সংস্থার কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ‘আত্মহত্যা প্রবণতার কারণ ও রোধে করণীয়’ বিষয়ে ‘লোক থিয়েটার’ কর্তৃক একটি নাটক লেখা, রিহার্সেল ও ডামি উপস্থাপনের ব্যবস্থা করতে বলেন, যা পরবর্তীতে জেলার সকল উপজেলায় মঞ্চস্থ করা হবে।

এরপর ‘লোক থিয়েটার’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ইসরাইল খান টিটোর নির্দেশনায় পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন এবং দর্শনা পৌরসভার কিশোর-কিশোরী ক্লাবের ১৩ জন সদস্যের নাট্যদল গঠন ও কর্মশালা শেষে গত ১৩ জুলাই ২০২৪ কোষাঘাটার গো-গ্রীন সেন্টারে ‘এসো জীবন বাঁচাই’ নাটকটির পরীক্ষামূলক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাংবাদিকসহ সংস্থার কর্মী-কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রদর্শনী শেষে জেলা প্রশাসক উপস্থিত অতিথিবৃন্দের কাছে নাটকটির উৎকর্ষতা সাধনে মতামত জানতে চাইলে সকলেই নাটকের স্ক্রিপ্টসহ কলাকুশলীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এরপর জেলা প্রশাসক সকল উপজেলায় নাটকটির প্রদর্শনী নিশ্চিত করতে উপজেলা কর্মকর্তাগণকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। আশা করা হচ্ছে, মাঠ পর্যায়ে নাটকটির প্রদর্শন কার্যক্রম জেলায় আত্মহত্যা প্রবণতাসহ অন্যান্য সামাজিক অবক্ষয় রোধে বিশেষ অবদান রাখবে।

]]>
11589
মুন্সিগঞ্জে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের যাত্রা শুরু https://wavefoundationbd.org/news-posts/the-journey-of-wave-foundations-microcredit-program-started-in-munshiganj/ Sun, 06 Oct 2024 11:13:18 +0000 https://wavefoundationbd.org/?post_type=news&p=11586 ওয়েভ ফাউন্ডেশন ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে জুলাই ২০২৪ এ মুন্সিগঞ্জ জেলায় পাঁচটি নতুন ইউনিটের উদ্বোধন করে। মুন্সিগঞ্জ সদর, রেকবি বাজার, দিঘীর পাড়, বালিগঞ্জ এবং হাসনাবাদে এই ইউনিটগুলো উদ্বোধনের মাধ্যমে সংস্থা প্রথমবারের মতো মুন্সিগঞ্জ জেলায় তাদের ঋণ কর্মসূচি চালু করে। এতে করে বর্তমানে সংস্থার মোট ইউনিট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৪টি। নতুন এই ইউনিটগুলোর উদ্বোধন সংস্থার ঢাকা রিজিওনাল কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলা আশা করা হচ্ছে।

পৃথক পৃথক দিনে ইউনিটগুলোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র পরিচালক মো. মুকিতুল ইসলাম। তিনি বলেন, “মুন্সিগঞ্জে আমাদের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই এলাকার অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আমরা স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই।” এসময় সংস্থার সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান মান্নানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

এ ধারাবাহিকতায় ২৪ আগস্ট ২০২৪ মুন্সিগঞ্জের নতুন পাঁচটি ইউনিট এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার ভিন্ন দুইটি ইউনিট যথাক্রমে কলাতিয়া ও কোনাখালার কর্মী-কর্মকর্তাদের নিয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর ইউনিটে দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক নাসিফা আলী সূচনা। ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির টেকসই উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “মুন্সিগঞ্জে রেমিটেন্স প্রবাহ, কুটির শিল্প এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের কেন্দ্র করে আমাদের মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ পোর্টফোলিও সম্প্রসারণের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন সদস্যদের সঠিক যাচাই ও মূল্যায়নের মাধ্যমে নিরাপদ বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।” তিনি কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন সম্মিলিতভাবে এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করেন এবং একটি কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে ইউনিটগুলোকে সফলতার পথে এগিয়ে নিয়ে যান।

উল্লেখ্য, নাগরিক সমাজের সংগঠন ওয়েভ ফাউন্ডেশন ১৯৯০ সাল হতে তাদের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি ন্যায্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে ৩৪টি জেলায় সংস্থার ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

]]>
11586
সাম্প্রতিক বন্যায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের জরুরি ত্রাণ এবং আর্থিক সহযোগিতা https://wavefoundationbd.org/news-posts/the-wave-foundations-emergency-relief-and-financial-support-in-the-recent-floods/ Fri, 06 Sep 2024 10:38:53 +0000 https://wavefoundationbd.org/?post_type=news&p=11581 বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরির্তনের ফলে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, বন্যা, খরা, নদীভাঙ্গনের মতো বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা দিন দিন ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি আগস্ট ২০২৪ এ বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা সংগঠিত হয়। যার ফলে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১১ লাখ পরিবার পানিবন্দী হয়ে আছে। কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে বন্যা পরবর্তী নানা রোগের প্রাদুর্ভাব। ফেনীর ৬০ শতাংশ জমি বালিতে পূর্ণ হয়ে চাষাবাদের জন্য প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্মরণকালের এই আকস্মিক বন্যায় দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ওয়েভ ফাউন্ডেশন সর্বস্তরের কর্মী-কর্মকর্তাদের এক দিনের বেতনের সাথে নিজস্ব তহবিল যোগ করে সর্বমোট ২৫ লক্ষ টাকার সহায়তা প্রদান করে।

ওয়েভ ফাউন্ডেশন এবং এর যুব প্লাটফর্ম ইয়ুথ এসেম্বলি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী, বাংলাবাজার এবং চৌমুহনীর ৩টি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বন্যা কবলিত ১০০০ পরিবারকে চাল, ডাল, লবণ, তেল, দিয়াশলাই, সাবান, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং শিশু খাদ্য হিসেবে গুঁড়া দুধ ও বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট এবং নারীদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করে।

সংস্থার নির্বাহী পরিচালক, মহসিন আলীর তত্ত্বাবধানে সকল পর্যায়ের কর্মী-কর্মকর্তা ও ইয়ুথ এসেম্বলির যুবদের সহযোগিতায় প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক এ এফ এম ইফতেখার হোসেনের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ত্রাণ বিতরণে অংশগ্রহণ করে। কর্মএলাকা না হওয়ায় ত্রাণ বিতরণ কাজে সহযোগিতা করে সংস্থার বন্ধু সংগঠন এবং ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’ নেটওয়ার্কের স্থানীয় সমন্বয়ক সংস্থা ‘এনআরডিএস’।

গত ২৭-২৯ আগস্ট ২০২৪ এই তিনদিন সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের কর্মী/কর্মকর্তাগণ এবং ইয়ুথ এসেম্বলির সদস্যবৃন্দ ত্রাণ সামগ্রীর প্যাকেট তৈরিতে দিনরাত পরিশ্রম করেন। এনআরডিএস-এর সহযোগিতায় যাচাই-বাছাই করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০০০টি পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। তালিকা অনুযায়ী ৩০ আগস্ট এ পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। তালিকাভুক্তদের মধ্যে বয়স্ক, বিধবা, ভিক্ষুক, শারীরিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষকে বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তীতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে দশ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়। ত্রাণ বিতরণ এবং আর্থিক সহযোগিতা ছাড়াও এ এলাকার বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কাজে সহায়তা করার চেষ্টা ও উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে ওয়েভ ফাউন্ডেশন এবং ইয়ুথ এসেম্বলির।

]]>
11581
WASH ঋণে স্বাস্থ্যকর জীবনের অগ্রযাত্রা https://wavefoundationbd.org/news-posts/advances-in-healthy-living-in-wash-loans/ Tue, 20 Aug 2024 06:07:10 +0000 https://wavefoundationbd.org/?post_type=news&p=11571 চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামের ছোট্ট একটি ঘরে রেহেনা খাতুনের বসবাস। ৪৬ বছর বয়সী এই গৃহিণী স্বামী ও দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে কঠিন জীবনযাপন করছিলেন। ১৯৯৮ সালে বিয়ের পর, চার শতক জমির উপর দাঁড়ানো একটি কাঁচা ঘর আর অগভীর টিউবওয়েল নিয়ে তাদের নতুন জীবন শুরু হয়। তবে, সেই টিউবওয়েলের পানি জমা হত মাটির গর্তে, যা মশা-মাছি ও অন্যান্য পোকামাকড়ের আড্ডাখানা। পানিতে দুর্গন্ধ আর অস্বচ্ছতা ছিল, তবুও কোনো বিকল্প না থাকায়, বাধ্য হয়ে সেই দূষিত পানিই পান করতো রেহেনার পরিবার।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রেহেনার জীবনে একটু একটু করে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। দিনগুলো কষ্টে কাটলেও আশার আলো দেখতে শুরু করেন রেহেনা, যখন তার ছেলে ওয়েভ ফাউন্ডেশন থেকে মোবাইল সার্ভিসিং প্রশিক্ষণ নেয়। এমন সময়, রেহেনা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের চিৎলা পাতাবাহার ক্ষুদ্র অর্থ সমিতির সদস্য হন এবং নিয়মিত উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনায় অংশ নিতে থাকেন।

এরমধ্যে একদিন, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার জাহানারা খাতুন চিৎলা গ্রামে আসেন এবং পানি ও স্যানিটেশন বিষয়ে আলোচনা করেন। সেই আলোচনা থেকে রেহেনা “BD Rural WASH for HCD Project” এবং এর মাধ্যমে পাওয়া ঋণ সুবিধার কথা জানতে পারেন। রেহেনা সিদ্ধান্ত নেন ঋণ নিয়ে তার বাড়ির পানি ও স্যানিটেশন পরিস্থিতি উন্নত করার।

রেহেনা ৭০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। সেই সঙ্গে আরও ৩৫ হাজার টাকা সংযোজন করে, তিনি সেফটি ট্যাংকসহ একটি পাকা পায়খানা এবং টিউবওয়েলসহ একটি গোসলখানা স্থাপন করেন। ব্যবহৃত পানি জমা করার জন্য একটি আবদ্ধ সোকয়েল ট্যাংকও তৈরি করেন। এখন রেহেনার বাড়ি স্যাঁতসেতে নয়, টিউবওয়েল থেকে স্বচ্ছ ও গন্ধমুক্ত পানি আসে। ফলে পরিবারের সদস্যদের অসুখ-বিসুখও কমে গেছে। স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ থাকায় সবাই খুশি। রেহেনা বলেন, “নিরাপদ পানির অপর নাম জীবন। ভাল পানি থাকলে জীবনও ভাল থাকে।”

ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সহায়তা রেহেনা ও তার পরিবারের জীবনযাত্রা পরিবর্তন করেছে। তাদের বাড়ির পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায়, পরিবারের সদস্যরা সুস্থ ও সুখী। রেহেনার এই সফলতার গল্প প্রমাণ করে, সঠিক সময়ে সঠিক সহায়তা কতটা কার্যকর হতে পারে।

]]>
11571
কাঁচা ঘাসে জীবনের নবসূর্যোদয় https://wavefoundationbd.org/news-posts/new-sunrise-of-life-in-raw-grass/ Tue, 20 Aug 2024 05:50:00 +0000 https://wavefoundationbd.org/?post_type=news&p=11563 দিনের শুরুতে সূর্যের প্রথম আলো যখন ভেজা ঘাসের উপর পড়ে, তখন তা যেমন ঝিকমিক করে ওঠে, আমার জীবনও তেমনই ঘাস চাষের মাধ্যমে সাফল্যের আলোকিত পথে পা বাড়িয়েছে। প্রতিদিনের নতুন সূর্যের মতো আমার জীবনেও নতুন আশার আলো ফুটে উঠেছে। একসময় সৌদি আরবে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতাম। প্রবাসের পথের সামান্য শ্রমিক থেকে আমি আজ একজন স্বাবলম্বী চাষী। প্রতিনিধিত্ব করে চলেছি দেশের কৃষক সমাজের।

আমি মো. লিটন মিয়া। ছোটবেলা থেকেই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত ছিলাম, কিন্তু জীবনে বড় কিছু করার স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন নিয়ে একসময় সৌদি আরবে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যাই। তবে সবসময়ই মনে হতো, নিজের দেশে ফিরে কিছু করতে হবে, কিছু সৃষ্টি করতে হবে। ২০১৮ সালে সেই তাগিদেই দেশে ফিরে আসি। ফিরে এসে অনেক দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে ছিলাম, কীভাবে নিজের পায়ে দাঁড়াবো, কীভাবে নতুন কিছু শুরু করবো। ঠিক তখনই আমার এক আত্মীয় আমাকে পরামর্শ দিলেন কাঁচা ঘাসের চাষ শুরু করতে। প্রথমে সন্দিহান ছিলাম, কিন্তু একটু যাচাই করে দেখলাম, কাঁচা ঘাসের চাহিদা বেশ ভালো। একবার চাষ করলে পাঁচ থেকে সাত বছর ঘাস পাওয়া যায় এবং ঠিক ভাবে করতে পারলে ব্যবসাটাও লাভজনক। প্রথমে ৩৩ শতক জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ শুরু করি। ঘাস চাষ শুরু করার পর নিজেই দেখতে পাই, চাহিদা কেমন দ্রুত বাড়ছে। নিজের গরুকে খাওয়াই, আবার বিক্রিও করি। সেই থেকে শুরু হলো আমার নতুন যাত্রা।

২০২২ সালের মার্চ মাসে ইফাদ (আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল), ডানিডা (ডেনিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিস) ও পিকেএসএফ (পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন) এর আর্থিক সহযোগিতায় এবং ওয়েভ ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে আরএমটিপি (রুরাল মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট) প্রকল্পের মাধ্যমে আমার জীবন পুরোপুরি বদলে গেল। আরএমটিপি প্রকল্পের আওতায় আমাকে ঘাস চাষী উদ্যোক্তা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। প্রকল্প থেকে আমাকে ঘাস চাষের ওপর এক দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ এবং আর্থিক সহায়তায় আমি ঘাস চাষে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠলাম। আরএমটিপির কৃষি অফিসারের পরামর্শে প্রতি বছর নেপিয়ার ঘাসের চাষ বাড়াতে থাকি।

বর্তমানে আমি ১৩২০ শতক জমিতে ঘাস চাষ করছি। এর মধ্যে ৮০০ শতক জমি লিজ নিয়েছি এবং ৫২০ শতক জমি আমার নিজের। প্রতিমাসে ৭০ থেকে ৮০ টন ঘাস বিক্রি করি, যার বাজারমূল্য প্রায় চার লাখ ৫০ হাজার টাকা। উৎপাদন খরচ এবং জমি লিজের খরচ বাদ দিয়ে প্রতিমাসে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার টাকার মতো লাভ হয়। আরএমটিপি প্রকল্প থেকে পনের হাজার টাকা অনুদান পেয়েছিলাম, যা দিয়ে আমার ঘাস বিক্রির দোকানটি সাজিয়েছি। এখন একটি পিকআপ গাড়ি কিনেছি, যাতে করে বিভিন্ন বাজারে ঘাস সরবরাহ করতে পারি। আমার ঘাসের চাহিদা এখন পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।

আরএমটিপির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মাঠ দিবস, রেডি ফিড ক্যাম্পেইন, এবং মাল্টি স্টেকহোল্ডার কমিটির সভায় অংশগ্রহণ করে আমার ঘাস বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে আমি মেহেরপুর জেলা মাল্টিস্টেকহোল্ডার কমিটির একজন সদস্য। প্রতিবছর সংসার চালিয়ে ৩০ থেকে ৪০ শতক জমি কিনছি। লিজ নেওয়া জমি ছেড়ে নিজের কেনা জমিতে ঘাস চাষ করছি, এতে উৎপাদন খরচও কমে যাচ্ছে। ঘাস চাষের লাভের টাকা দিয়ে আমি এখন নিজের জমি ৭৬০ শতক করেছি, দুই ছেলেকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছি এবং গ্রামে একটি সুন্দর দুইতলা বাড়ি তৈরি করেছি। সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা আমার ঘাস চাষ দেখতে আসেন, আমার বাড়িতে আসেন, আমার ঘাসের কাটিং নিয়ে যান। আজ আমি একজন সফল ঘাস ব্যবসায়ী। এই সফলতার পেছনে রয়েছে ওয়েভ ফাউন্ডেশন, পিকেএসএফ, ডানিডা এবং ইফাদের সহযোগিতা। তাদের সহায়তা ছাড়া আমি এতদূর আসতে পারতাম না, তাদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ।

এই দীর্ঘ যাত্রায়, ওয়েভ ফাউন্ডেশন ও এর সহযোগী সংস্থাগুলি আমাকে শুধু আর্থিক সহায়তা করেনি, তারা আমাকে আত্মবিশ্বাস এবং আশা দিয়েছে। তাদের এই উদ্যোগ আমাকে ও আমার পরিবারের জীবন বদলে দিয়েছে এবং গ্রামের মানুষদের কাছে আমার সামাজিক মর্যাদা বাড়িয়েছে। আজ আমার গল্প শুধুমাত্র আমার ব্যক্তিগত সাফল্যের নয়; এটি একটি জ্বলন্ত প্রমাণ যে, সম্মিলিত প্রচেষ্টা, সঠিক দিকনির্দেশনা এবং সদিচ্ছার মাধ্যমে জীবন বদলানো সম্ভব। ওয়েভ ফাউন্ডেশন এবং এর সহযোগী সংস্থাগুলির প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা অপরিসীম।

]]>
11563
ইয়ুথ এসেম্বলির `আর্ন্তজাতিক যুব দিবস ২০২৪’ উদযাপন ও সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা https://wavefoundationbd.org/news-posts/youth-assembly-celebrates-international-youth-day-2024-and-discusses-contemporary-issues/ Thu, 15 Aug 2024 05:26:33 +0000 https://wavefoundationbd.org/?post_type=news&p=11594 গত ১২ আগস্ট ২০২৪ ওয়েভ ফাউন্ডেশনের যুব প্লাটফর্ম ‘ইয়ুথ এসেম্বলি’র উদ্যোগে ‘আর্ন্তজাতিক যুব দিবস’ উদযাপিত হয়। দিবসটির প্রতিপাদ্য সাধারণ জনগণের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন তৈরি করা হয়। এছাড়া দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও সমসাময়িক ইস্যুতে জানাবোঝার জন্য ‘তরুণ ভাবনা: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও রাষ্ট্র সংস্কার চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামে ঢাকায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী ও ইয়ুথ এসেম্বলির সদস্যসহ সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

আলোচনায় উপস্থিত সকলে তাদের অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ শনাক্তকরণসহ এক্ষেত্রে যুবদের ভূমিকা এবং সুপারিশসমূহ উত্থাপন করেন। আলোচনায় সংবিধান সংস্কার, সংসদে ছাত্র প্রতিনিধি অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, শিক্ষাক্ষেত্রে কারিকুলাম সংশোধন, ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ইন্টার্নশিপের সুযোগ সৃষ্টি ইত্যাদি বিভিন্ন সুপারিশ উঠে আসে।

আলোচনা অনুষ্ঠানে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী, উপ-নির্বাহী পরিচালক নাসিফা আলী সূচনা সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ তরুণদের সাহসী উদ্যোগ এবং স্বদেশপ্রেমকে সাধুবাদ জানিয়ে রাষ্ট্র সংস্কারে যুবদের গঠনমূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। আলোচনার এক পর্যায়ে নির্বাহী পরিচালক বলেন, “যে কোনো দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে যুবরা মূল শক্তি হিসেবে কাজ করে। আমরাও তার ব্যতিক্রম নই। দেশ গঠনে যুবদের এ মহান আত্মত্যাগ ও অবদান আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। ওয়েভ ফাউন্ডেশন তাদের সকল ভালো কাজের সাথে থাকবে।”

]]>
11594
‘সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি: প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত https://wavefoundationbd.org/news-posts/discussion-session-on-social-protection-programme/ Wed, 17 Jul 2024 11:04:54 +0000 https://wavefoundationbd.org/?post_type=news&p=11583 গত ১৬ জুলাই ২০২৪, রাজধানীর সিক্স সিজনস হোটেলে ‘সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি: প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বলেন, বাজেটে ক্রমাগত মূল্যস্ফীতির চাপে হিমশিম খাওয়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে প্রকৃত উপকারভোগীর বিশাল একটা অংশ এখনও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় আসতে পারেনি। প্রকৃত উপকারভোগীদের সঠিক তালিকা না থাকা, শিক্ষার অনগ্রসরতা, জবাবদিহিতার অভাব, বিচারহীনতার সংস্কৃতি, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার, স্বজনপ্রীতি, লিঙ্গ বৈষম্য, কর্মসংস্থানের অভাব, নিয়মিত মনিটরিং না করা প্রভৃতি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি মাঠ পর্যায়ে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ার অন্যতম কারণ।

ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী’র সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ এডভোকেট সানজিদা খানম এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল; মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জাকিয়া আফরোজ; এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) মো. আনোয়ার হোসেন এবং ক্রিশ্চিয়ান এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর নুজহাত জাবিন উপস্থিত ছিলেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও সঞ্চালনা করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক কানিজ ফাতেমা। এছাড়াও এতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ, স্থানীয় জনগোষ্ঠী, এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটি, নাগরিক সমাজ, যুব ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। সভাপতির বক্তব্যে মহসিন আলী বলেন, “মূলধারার আমরাই দলিত, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, হিজড়া প্রভৃতি জনগোষ্ঠীকে আসলে পিছিয়ে রাখি। কোনো ক্ষেত্রে রাষ্ট্রও পিছিয়ে রাখে। হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য প্রয়োজনীয় আইন দরকার। সামাজিক সুরক্ষাসহ সকল কার্যক্রম যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য দরকার সুশাসন নিশ্চিত করা। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে না পারলে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে সরকারকেই প্রথমে তৎপর হতে হবে, নাগরিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে, সোচ্চার হতে হবে।”

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ক্রিশ্চিয়ান এইডের সহায়তায় বাস্তবায়িত ‘পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ (ইএলএমসি)’ প্রকল্প আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় মাঠ পর্যায়ে পরিচালিত সামাজিক নিরীক্ষার ফলাফল উপস্থাপন করেন গবেষক আহমেদ বোরহান। সামাজিক নিরীক্ষার ফলাফলে যে সুপারিশগুলো উঠে এসেছে সেগুলো হলো: বর্তমান প্রেক্ষাপটে মূল্যের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও নিম্নবিত্তদের জন্য স্বল্পমেয়াদী (যেমন, রেশনিং) ও দীর্ঘমেয়াদী (যেমন, মূল্য কমিশন প্রতিষ্ঠা) পদক্ষেপ গ্রহণ করা; সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট নতুন দরিদ্রদের অন্তর্ভুক্ত করা; নগর দরিদ্রদের জন্য বেশি বরাদ্দের পাশাপাশি নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করা; সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিসমূহের উপকারভোগীদের ডিজিটালাইজড নির্বাচন প্রক্রিয়া ও সেবা প্রদান বিষয়ে ন্যূনতম জানাবোঝার ব্যবস্থা করা; পেনশন, সঞ্চয়পত্রের সুদ, মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি প্রভৃতি খাত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অংশ হিসেবে না রাখা; কর্মসূচিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য একটি স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ, দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক পদ্ধতি অনুসরণ করা এবং সেবাগ্রহীতাদের উত্তরণে একটি সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনাসহ শক্তিশালী মনিটরিং ও মূল্যায়ন পদ্ধতি নিশ্চিত করা; সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসমূহের ক্ষেত্রে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) সহজতর ও কার্যকর করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা; ভিজিডি, প্রতিবন্ধী ও হিজড়া ভাতা গ্রহণকারীদেরকে সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে আরো বেশি করে অন্তর্ভুক্ত করা; প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাঠামোগত বাধা (আইসিইউ, অ্যাম্বুলেন্স, টয়লেট ইত্যাদি), মানবসম্পদের ঘাটতি ইত্যাদি পূরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা; হিজড়া সম্প্রদায়ের প্রতি সংবেদনশীল আচরণ ও হয়রানিমুক্ত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা; সামাজিক সুরক্ষাসহ সরকারি বিভিন্ন সেবা সম্পর্কিত তথ্য প্রচারের জন্য বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠনসমূহের সহায়তা গ্রহণ এবং বেসরকারি সংগঠনগুলোরও এ সংক্রান্ত প্রচারাভিযান অব্যাহত রাখা।

]]>
11583
পরিবেশসম্মত কৃষি চর্চা ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের Go Green কর্মশালা https://wavefoundationbd.org/news-posts/wave-foundations-go-green-workshop-on-eco-friendly-farming-practices-and-entrepreneurship-development/ Tue, 25 Jun 2024 06:01:34 +0000 https://wavefoundationbd.org/?post_type=news&p=11568 পরিবেশসম্মত কৃষি চর্চার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ‘Go Green’ কর্মসূচির আওতায় দুই দিনব্যাপী ‘পরিবেশসম্মত কৃষি চর্চা ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা’ আয়োজিত হয়। রাজধানীর আদাবরে সেতু ট্রেনিং সেন্টারে ৬ ও ৭ জুন কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সংস্থার সকল কর্মসূচি, বিভাগ, ও প্রকল্প কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি কর্মশালার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন এবং Go Green কর্মসূচির প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “পরিবেশের নেতিবাচক প্রভাবে পৃথিবীতে পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হচ্ছে, যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পরিবেশসম্মত কৃষি চর্চার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন সম্ভবপর হবে।” তিনি ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ/কমিউনিটি ও প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ‘সবুজ জীবনধারা-Green Lifestyle’ গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। কর্মশালায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক নাসিফা আলী। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি অংশগ্রহণকারীদের মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচিটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করেন।

৬ জুন, কর্মশালার প্রথম দিনে Go Green কর্মসূচির ধারণা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং এর প্রেক্ষাপট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীরা Go Green বাস্তবায়নের রূপরেখা এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের ভূমিকা সম্পর্কে ধারণা পান। এছাড়া সংস্থার কৃষি উন্নয়ন কার্যক্রমের বর্তমান অবস্থা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং নতুন উদ্যোগ Go Green কিভাবে বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়। পরিবেশসম্মত কৃষি ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীরা দলগত কার্যক্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

৭ জুন, কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে পরিবেশসম্মত কৃষি চর্চা ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে সংস্থার কর্মী, কর্মকর্তা, নীতিনির্ধারক, বিভাগ, কর্মসূচি ও সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা; প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশীজন এবং তাদের ভূমিকা ও সম্পৃক্তকরণ কৌশল; সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের সাফল্য পরিমাপ সূচক, পরিমাপের সময়সীমা ও পদ্ধতি প্রভৃতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীরা দলগত আলোচনা, প্রশ্নোত্তর পর্ব, ভিডিও প্রদর্শন ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের আইডিয়া ও মতামত প্রদান করেন। কর্মশালা আয়োজনে সার্বিকভাবে ছিলেন সংস্থার কর্মীদের সক্ষমতা উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা আব্দুস সবুর, সহ-সহায়ক হিসেবে ছিলেন সিনিয়র সমন্বয়কারী আব্দুস সালাম এবং লজিস্টিক সহায়তায় ছিলেন সহ-সমন্বয়কারী নাসিম বিল্লাহ।

উল্লেখ্য, Go Green বেসরকারি সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশন এবং সহযোগী সংস্থা ইয়ুথ এসেম্বলির একটি কর্মসূচি ও আন্দোলন। এই কর্মশালা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের পরিবেশগত উদ্যোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা সংগঠনের অন্যান্য কর্মসূচির সাথে ক্রস-কাটিং ইস্যু হিসেবে যুক্ত হবে। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা পরিবেশের সুরক্ষায় নিজেদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং সক্রিয়ভাবে এই উদ্যোগে অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন।

]]>
11568
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় বিশেষায়িত চক্ষু ক্যাম্প আয়োজন https://wavefoundationbd.org/news-posts/organized-specialized-eye-camp-in-galachipa-upazila-of-patuakhali/ Fri, 21 Jun 2024 05:47:21 +0000 https://wavefoundationbd.org/?post_type=news&p=11560 পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় ওয়েভ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে একটি বিশেষায়িত চক্ষু স্বাস্থ্য ক্যাম্প আয়োজিত হয়। Pathways to Prosperity for Extremely Poor People (PPEPP-EU) প্রকল্পের আওতায় পিকেএসএফের সহযোগিতায় এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয়। ৬ জুন ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত এই ক্যাম্পে ১৩১ জন রোগী বিনামূল্যে সেবা গ্রহণ করেন। এছাড়া ১৭ জন রোগীকে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য বরিশালের ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট এবং হাসপাতালে সুপারিশ করা হয়।

ক্যাম্পে রোগীদের জন্য বিনামূল্যে প্রেসক্রিপশন, চশমার প্রেসক্রিপশন, নেত্রনালী ও মাংসপেশির অপারেশন, ন্যায্যমূল্যে ঔষধ ও চশমা, এবং চোখের ছানি অপারেশন ও আইএলও লেন্স স্থাপনের সুবিধা প্রদান করা হয়। ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট এবং হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বেনজির বুশরা ও তার ৭ সদস্যের টিমের নেতৃত্বে ক্যাম্পের কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়। গলাচিপা উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়ন, রতনদী তালতলী, গজালিয়া ও গোলখালি ইউনিয়নের অতিদরিদ্র মানুষজন এই ক্যাম্প থেকে উপকৃত হয়েছেন। ওয়েভ ফাউন্ডেশনের বিশেষায়িত এই চক্ষু ক্যাম্পটি আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল গ্রামের দরিদ্র মানুষদের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া।

বিশেষায়িত চক্ষু স্বাস্থ্য ক্যাম্পের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ হুমায়ুন কবীরসহ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্মকর্তাবৃন্দ ক্যাম্পটি পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ক্যাম্পে উপস্থিত রোগীরা জানান, গ্রামের মানুষদের জন্য এ ধরনের সেবা পাওয়া কঠিন। ওয়েভ ফাউন্ডেশন ও সহযোগী সংস্থার এ উদ্যোগ তাদের জীবনকে সহজতর করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা সংস্থার এই উদ্যোগের প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এই ধরনের উদ্যোগের ধারাবাহিকতা কামনা করেন। ওয়েভ ফাউন্ডেশন এবং এর সহযোগী সংস্থাগুলির এমন উদ্যোগ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে আরও প্রসারিত হবে বলে গ্রামবাসী আশাবাদী।

]]>
11560